Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত, montair 10 খাওয়ার নিয়ম, দাম

এই আর্টিকেলে Montair 10 ট্যাবলেট সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশেষ করেঃ Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত ও montair 10 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি এই ট্যাবলেট সম্পর্কে সকল তথ্য অল্প সময়ের মধ্যে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত।

যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয় আর্টিকেল তাই আপনার উচিত এটি সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়া। অনেক ক্ষেত্রে কিছু মানুষ তাড়াহুড়া করে পড়ে ট্যাবলেটটি খাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যার ফলে পরবর্তীতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়। তাই আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় না থাকলে পরবর্তী কোন সময় পড়ে জেনে নিতে পারেন Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত এবং montair 10 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

 

montair 10 এর অনেক কাজ রয়েছে। এটি মূলত ১০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট জাতীয় ঔষধের
অন্তর্ভুক্ত। মন্টেলুকাস্ট নামক উপাদান দিয়ে এই ওষুধটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
montair 10 বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের
প্রস্তুতকৃত একটি ঔষধ। এটি বিভিন্ন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

মূলত এই ট্যাবলেটটি একটি
লিউকোট্রিন রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট। এই ওষুধ হাঁপানি বা অ্যাজমা, জ্বর এবং মৌসুমি এলার্জির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত
হয়। তবে হাঁপানি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা এই ওষুধটি সেবনের নির্দেশনা
দিয়ে থাকে। যেহেতু হাঁপানি ও এলার্জি একটি বিরক্তি কর রোগ তাই এর চিকিৎসাও একটু
জটিল হয়ে থাকে।

 

হাঁপানি রোগ জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকের মধ্যে শব্দ
হওয়া, নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, বুকে ব্যথা করা, দম আটকে আসা,
অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া, সর্দি, স্বাভাবিকভাবে খেতে না পারা, হঠাৎ করে
রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, নাকের ধুলা গেলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, খেলতে গেলে বা
দৌড়াতে গেলে
শ্বাসকষ্ট
হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া এলার্জিজনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ একবারে একাধিক হাঁচি
হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি রোগের প্রতিষেধক হিসাবে montair
10 ঔষধটি সেবন করা হয়।

 

এক কথায় বলতে গেলে montair 10 এর কাজ হল হাঁপানি কিংবা এলার্জিজনিত যে সকল রোগ
আছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ঋতু
পরিবর্তনের সময় হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট বা এলার্জির প্রভাব অনেক বেড়ে যায়। তখন
তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা রোগীদের এই ওষুধটি সেবন করতে
বলেন।

 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন montair 10 এর কাজ কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমাদের
আর্টিকেলের নিচের অংশে montair 10 সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য যেমনঃ Montair 10
কতদিন খাওয়া উচিত এই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে আপনি
নিম্নের অংশগুলো থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পড়তে পারেন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগী যখন একজন
চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যায় তখন চিকিৎসকেরা প্রেসক্রিপশনে montair 10
বা মন্টেলুকাস্ট গ্রুপের বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার নির্দেশনা দেয় এবং লিখে দেয় এই
ঔষধ গুলো চলবে। কিন্তু অনেক রোগী বুঝতে পারে না Montair 10 কতদিন খেতে হবে বা
মন্টেলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ গুলো কতদিন খাওয়া উচিত।

 

এজন্য অনেকে জিজ্ঞেস করে Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত? তো তাদের সুবিধার্থে আমার
আর্টিকেলের এই অংশে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হবে। তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ
সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

 

হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট কিংবা এলার্জি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ তাই এই রোগগুলো ভালো করার
জন্য চিকিৎসকের নির্দেশিত ঔষধগুলো দীর্ঘদিন যাবত সেবন করতে হয়। এই রোগগুলো হঠাৎ
করে ভালো হয় না বা এমন কোন ঔষধ নেই যে আপনি একদিনের মধ্যেই হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট
কিংবা এলার্জি ভালো করবেন। তাই এসব রোগের ঔষধ দীর্ঘদিন যাবৎ সেবন করতে হয়।

 

আপনি সম্পর্কে আমি আপনাদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারব কারণ আমি নিজে একজন
হাঁপানিবা এজমার রোগী। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার নিউমোনিয়া হয়েছিল। তখনকার
সময়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করা এতটা সহজ ছিল না। একটু উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে
হলে জেলা পর্যায়ে যেতে হতো। নিজস্ব ইউনিয়ন কিংবা থানায় তেমন কোন উন্নত
হাসপাতাল
ছিল না। আর তখন কোন স্মার্টফোন ছিল না যার কারণে ইন্টারনেট থেকে Montair 10 এর কাজ কি বা Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানবে।

 

প্রথম দিকে যখন আমার নিউমোনিয়া হয়েছিল তখন যদি আমার চিকিৎসা করা হতো তাহলে বড়
হয়ে আমার হাঁপানি বা এজমা হতো না। আমার নিউমোনিয়া হওয়ার পর আমাকে দীর্ঘদিন কোন
চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। আত্মীয়-স্বজনদের থেকে শুনি আমি নাকি ১৪ দিন চোখ বন্ধ
করেছিলাম এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও পারছিলাম না। পরিস্থিতি যখন ভয়ঙ্কর তখন আমাকে
চিকিৎসা করানো হয়।

 

আবার অন্যদিকে আমার নানার এজমা বা হাঁপানির সমস্যা ছিল। যেহেতু এটি একটি বংশগত
রোগ তাই ছোটবেলার ওই নিউমোনিয়া থেকে এবং বংশগত কারণে আমার নানার থেকে এই রোগটি
আমার মধ্যে আসে। যদিও আমার দাদার বংশের কোন মানুষেরই এই ধরনের সমস্যা নেই। আসলেই
এই রোগটি একটি মারাত্মক সমস্যা জনক রোগের অন্তর্ভুক্ত।

 

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তবে অনেক কারণে অল্প
বয়সেও এরোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। হাঁপানি বা এজমা রোগের প্রধান শত্রু হল
ধূমপান এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবার। কোন ব্যক্তির যদি এজমা বা হাঁপানের সমস্যা থাকে
তাহলে তার সর্বোচ্চ উচিত ধূমপান এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা।

 

আপনি যাই করেন না কেন কোন সমস্যা হবে না কিন্তু যদি ধূমপান এবং ঠান্ডা জাতীয়
খাবার খান তাহলে হঠাৎ করেই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে। যাদের এই রোগটি কখনো হয়নি
তাদের হয়তো কথার মাধ্যমে বোঝানো যাবে না। এই রোগে যে ভুগেছে সেই একমাত্র জানে
যখন এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয় তখন কেমন কষ্ট লাগে।

 

বিশেষ করে নিঃশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয়। নিঃশ্বাস সহজে আসতে চায় না তাই
নিঃশ্বাসকে জোর করে ভিতর থেকে নিয়ে আসতে হয়। এই নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় বুকের
মধ্যে প্রচন্ড পরিমাণে শব্দ হয়। আপনি যদি একই বিছানায় একজন মানুষের সাথে ঘুমান
সেই সময় যদি আপনার হাঁপানের উপসর্গ অর্থাৎ নিঃশ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দেয়
তাহলে সেই মানুষটি আপনার বুকের ভেতরে সেই শব্দ শুনতে পাবে।

 

নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় যে কষ্ট হয় তা সহ্য করতে না পেরে অনেক সময় চোখ দিয়ে
পানি পর্যন্ত চলে আসে। তাই আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এই
রোগের সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আর এই রোগটি যদি আপনার সন্তানের বা কোন আত্মীয়
স্বজনের হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে সঠিক চিকিৎসা প্রদান
করুন।

 

তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন Montair 10 কতদিন খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে
বিস্তারিত। আর্টিকেলের নিচের অংশ পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আরটিকেলের এই অংশ
শেষ করছি। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আর
যেহেতু এটি স্বাস্থ্য বিষয় আর্টিকেল তাই নিজের সুবিধার্থে নিজেকেই দায়িত্ব
নিয়ে পড়া উচিত।