প্রিয় পাঠক আপনি কি অল্প সময়ে বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি, বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় নাকি জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য হতে পারে একটি শ্রেষ্ঠ আর্টিকেল। কারণ এই আর্টিকেলে বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি তা আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় নাকি, bicozin tablet এর উপকারিতা, বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এই ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কারণ আজকের এই আর্টিকেলে বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি এবং বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় কিনা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল তাই বিস্তারিত জানতে আপনাকে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি, বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় কিনা এবং bicozin tablet এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশে পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন
Toggleবিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি, কিসের ঔষধ
আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চায় বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি? তাই তাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ জানানো হবে। তবে এটি জানতে গেলে আপনাদের প্রথমে জানতে হবে বিকোজিন ট্যাবলেট এর উপাদান সম্পর্কে। কারণ প্রত্যেকটি ওষুধের কার্যকারিতা পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করে এর উপাদানের উপরে।
প্রত্যেকটি ওষুধই নির্দিষ্ট রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়, আর এই কাজটি করে থাকে ওই ওষুধের উপাদান। উপাদান গুলো যদি শক্তিশালী হয় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়। আর এটি যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ সেবন করেও ভাল কোন ফলাফল পাবেন না।
বিকোজেন ট্যাবলেট হল মাল্টিভিটামিন ও খনিজ পুষ্টির সমন্বয়ে তৈরি একটি ওষুধ। এতে থায়ামিন (ভিটামিন B1), রিবোফ্লাভিন (ভিটামিন B2), পাইরিডক্সিন (ভিটামিন B6), নিকোটিনামাইড (ভিটামিন B3), এবং জিংক রয়েছে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে এতগুলো উপাদান সমৃদ্ধ বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় নাকি? তো এই সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে তাই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
তো বুঝতেই পারছেন যদি কোন ট্যাবলেট এর মধ্যে এতগুলো উপাদান থাকে তাহলে ওই ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা এমনিতেই বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক আর যেহেতু এটি এক ধরনের মাল্টিভিটামিন তাই আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না এটি কি ধরনের উপকারিতা আপনার শরীরে বয়ে আনতে পারে। তবে বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি জানার পরে অতিরিক্ত উপকারিতা পাওয়ার জন্য কখনোই বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম লংঘন করবেন না।
কারণ বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যাই হোক, যেহেতু বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান আছে যার ফলে এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। তো চলুন এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। যারা খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করতে পারে না তাদের জন্য বাহ্যিকভাবে ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করার কাজ করে এই ট্যাবলেট। বিশেষ করে যারা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন বা অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দিচ্ছে বিকোজেন ট্যাবলেটটি তাদের জন্য এই দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর করে।
এই ট্যাবলেটটি সেবনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ যারা কয়েকদিন পরপরই অসুস্থতায় ভোগে তাদের উচিত এই ট্যাবলেট সেবন করা। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বিভিন্ন রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এই ট্যাবলেটের তুলনা হয় না।
এছাড়া এই ট্যাবলেটটি ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করে, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করে, শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি বৃদ্ধি, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে ইত্যাদি। আপনি যদি বিকোজিন ট্যাবলেট এর উপকারিতা গুলো জানতে পারেন তাহলে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এই ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে এবং bicozin tablet এর উপকারিতা অংশটি পড়লে আরো বুঝতে পারবেন।
বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়
আপনাদের মনের মধ্যে বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় নাকি? এই ধরনের প্রশ্ন কিভাবে উদয় হয়েছে সে সম্পর্কে আমি জানি। আপনারা যদি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে ট্যাবলেটটি সেবন করতে তাহলে এই ধরনের কোন প্রশ্নই আপনারা করতেন না কিংবা আপনার মনে উদয় হত না। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের উৎপত্তি করে মূলত ফার্মেসির দোকানদারেরা।
সাধারণত আপনারা যদি কোন ফার্মেসিতে গিয়ে বলেন মুখের রুচি বৃদ্ধি করার ঔষধ দেন তাহলে তারা আপনাকে বিকোজিন ট্যাবলেট দিবে। কিন্তু তারা যদি আপনাকে এই ট্যাবলেটের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো তাহলে আপনি কিন্তু সঠিক ধারণা পেতেন। কিন্তু তারা ঔষধ সম্পর্কে কোন তথ্য না জানিয়ে শুধুমাত্র ঔষধ দেয় এবং টাকা দেয়।
ঠিক একই ভাবে আপনার প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত যদি মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে খুঁজতে থাকে তাহলে আপনিও তাকে ট্যাবলেট খেতে বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মূলত আপনি নিজেও জানেন না ট্যাবলেটের আসল কার্যকারিতা কি কিংবা কি উদ্দেশ্যে এটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। এজন্য যেকোনো ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ওই ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিবেন।
আপনারা ইতিমধ্যে আপনাদের অতি অপেক্ষিত এবং বহুল জিজ্ঞাসিত অংশে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু আপনারা এতক্ষণ বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি সম্পর্কে জেনেছেন তাহলে আশা করা যায় আপনি এই ট্যাবলেটের উপাদান সম্পর্কেও পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়েছেন। কোন ঔষধের মধ্যে যদি মোটা হওয়ার উপাদান থাকে তাহলে ওই ওষুধ খেলে অবশ্যই মোটা হবেন।
যাই হোক, যদি কোন ঔষধের মধ্যে মোটা হওয়ার কোন উপাদান না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যদি সারা জীবন সেটি সেবন করেন তাহলেও কোন মোটা হবেন না। বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় তা হলো বিকোজিন হলো জিং যা আমাদের শরিলের ভিটামিন বি এর ঘাতটি পুরন করে থাকে।
বিকোজিন জিংক আমাদের শরিলে অনেক কার্যকরী আমাদের শরিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিকোজিন অনেক দরকারি। এছাড়া ক্ষত সারাতে, পরিপাক, প্রজনন, শারীরিক বৃদ্ধি করতে বিকোজিন অনেক কার্যকরী ভুমিকা রাখে । এছাড়া বিকোজিন মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে থাকে।
অনেকে মনে করে যে বিকোজেন ট্যাবলেট খেলে মোটা হয় মূলত এই ধারনা টা সম্পুর্ন ভুল ধারনা । তবে এক কথায় বলতে গেলে বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে মোটা হয় কিন্তু সেটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে। আবার ভালোভাবে বুঝে নিবেন, এই ট্যাবলেটটি প্রস্তুত করা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু উপকারিতা পাওয়ার জন্য। কিন্তু এই ট্যাবলেট খেলে ওই সব উপকারিতা গুলো পাওয়ার পাশাপাশি বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীর মোটা হয়ে যায়।
যেহেতু এটি সেবনের ফলে মুখের রুচি এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এজন্য অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে আরেকটি মারাত্মক ক্ষতিকর দিক হলো, অতিরিক্ত সেবনের ফলে কিডনিতে পানি জমতে পারে। যার ফলেও কিন্তু শরীর ধীরে ধীরে স্থুল হয়ে ওজন বৃদ্ধি পায়। এজন্য আপনার অবশ্যই বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জেনে নেবেন।
এছাড়া মোটা হওয়ার কোনো ট্যাবলেট আমাদের শরীরকে স্থায়ীভাবে মোটা করে না তাই সবার উচিত এই সব ট্যাবলেট থেকে দূরে থাকা । বিকোজিন ট্যাবলেট টি যদি আপনি খেতে চান তাহলে তার আগে অব্যশয় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন । আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় কি না সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।
.webp)
বিকোজেন কিসের ঔষধ বিকোবিয়ন কিসের ঔষধ তা জানতে এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । আজকে আলোচনা করা হবে বিকোবিয়ন কিসের ঔষধ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।বিকোবিয়ন কিসের ঔষধ তা হলো বিকোবিয়ন মুলত ভিটামিন বি ১ শর্করা এবং আমাদের অমাইনো এসিডকে রুপান্তর করে । এই বিকোবিয়ান ঔষুধ টি আমাদের শরিল মোন হৃদপিন্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে ।
এছাড়া বিকোবিয়ান ট্যাবলেট টি হ্রদরোগ স্টোক ঘুম না আসা সহ নানা রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে থাকে । বিকোবিয়ন ট্যাবলেট টি রক্তশুন্যতা অবসাদ সহ স্নায়ুর ব্যাথা এবং রক্ত জমাট বাধা সহ হৃদরোগের ঝুকি কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে এই ট্যাবলেটটি । আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় নাকি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ।
বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি জানার পরে অনেকেই খাওয়ার নিয়ম না জেনেই সেবন শুরু করেন ফলে নানা রকম স্যামসায় ভোগেন । আজকে এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ। বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন ৩ বেলা ১ টা করে ট্যাবলেট প্রতি ১ বেলা খাবেন । অব্যশয় চিকিৎকের নিয়ম অনুযায়ী ।
এছাড়া আপনি বিকোজিন ইনজেকশন ও নিতে পারেন । ইনজেকশন নেওয়ার নিয়ম হলো তীব্র রোগের ক্ষেত্রে দিনে ১ টি এম্পুল যতক্ষন না পযন্ত তীব্র লক্ষন না প্রমশিত হয় । এবং ইনজেকশন নেওয়ার আগে অব্যশয় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন । এ ছাড়া মুদু রোগের ক্ষেতে আপনি ১ টি ইনজেকশন প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার নিতে পারেন সেটা অব্যশয় চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী।
.webp)
এটা সাধানত মাংসপেশীতে প্রয়োগ করা হয় । তবে সব থেকে ভালো হয় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করে তার নির্দেশিত নিয়ম অনুসারে সেবন করা। কারন চিকিৎসকের আপনার শারীরিক পরিস্থিতি এবং রোগের ধরন অনুসারে সেবন বিধির নির্দেশনা দেন। তবে আপনি সাময়িক সময়ের জন্য আর্টিকেলে উল্লেখিত নিয়মটি অনুসরণ করতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না।
তবে মনে রাখবেন কখনোই দীর্ঘদিন যাবত এই নিয়মটি অনুসরণ করে সেবন করা যাবে না। যদি এই নিয়মটি অনুসরণ করে দীর্ঘদিন যাবত সেবন করতে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন হবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।
বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।
bicozin tablet এর উপকারিতা
bicozin tablet এর উপকারিতা অনেক গুলো আপনার অনেক স্যামসার সমাধান পাবেন এই বিকোজিন ট্যাবলেট থেকে। তবে এই উপকারিতা গুলো পেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। আপনার হৃদরোগের সমস্যা দূর করতে বিকোজিন ট্যাবলেট অনেক সাহায্য করতে পারে । এছাড়া আপনার ঘুমের সমস্যা, মানসিক ভাবে অশান্তিতে থাকা থেকে মুক্তি দিবে এই ঔষুধ ।
আপনার লোহিত রক্ত কনিকা প্রটিন নিউরোট্রান্সমিটার স্টোক থেকে মুক্তি দিতে এই বিকোজিন ট্যাবলেট অনেক সাহায্য করতে পারে। এছাড়া আপনি ডাক্তারে কাছে পরামর্শ নিতে পারেন যে bicozin tablet এর উপকারিতা কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে।
বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
যারা বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি জানার পরে ট্যাবলেটটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে বিকোজিন ট্যাবলেটে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। যদিও এই ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে তবুও সামান্য পরিমাণে। এই ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো বমি বমি ভাব, পেট খারাপ, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা ত্বকের অ্যালার্জি, ফোলাভাব, চুলকানি, লালভাব ইত্যাদি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এই ট্যাবলেটের আহামরি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা নেই।
যদি আপনি এই ট্যাবলেটটি কোন চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবে যদি সেবন করেন তাহলে মারাত্মক কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া: শ্বাসকষ্ট, মুখ ও গলার ফোলাভাব, চুলকানি, চোখ ফোলাভাব, রক্তের সমস্যা: রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া, লিভারের সমস্যা: লিভারের এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি, হলুদ চোখ ও ত্বক।

তবে আপনি চাইলে এই বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোকে অনেকাংশেই হ্রাস করতে পারবেন যদি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকনি নির্দেশিত বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
বিকোজিন ট্যাবলেট এর দাম কত
বিকোজিন ট্যাবলেট এর দাম কত এটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় কারন স্থানভেদে এই দামের তারতম্য রয়েছে। আপনি যদি শহরাঞ্চলের ফার্মেসীগুলো থেকে বিকোজিন ট্যাবলেট ক্রয় করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিছুটা কম দামে কিনতে পারবেন যদি দোকানটি পাইকারি হয়। আর আপনি যদি গ্রাম অঞ্চলের ফার্মেসিগুলো থেকে খুচরা হিসাবে ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে নাম বেশি নিতে পারে। আর যেহেতু এটি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস তৈরিকৃত ঔষধ তাই বাংলাদেশের যেকোনো ফার্মেসিতেই খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
তবে সাধারণত বিকোজিন ট্যাবলেট এর প্রতি পিসের দাম দাম ৩ টাকা। যেহেতু একটি বোতলে ৩০ টি ট্যাবলেট থাকে তাই ১ বোতন বিকোজিন ট্যাবলেট এর ৯০ টাকা পড়বে। তবে বর্তমানে, ঔষধ ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন অনলাইন শপ রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি আরো কম দামে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ ক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি বিকোজিন ট্যাবলেট প্রতি পিস ২.৭ টাকা অর্থাৎ এক বোতল অর্থাৎ ৮১ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে চান সে ক্ষেত্রে Arogga এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারেন।
বিকোজিন সিরাপ এর দাম কত
বিকোজিন সিরাপ এর দাম ৬০ টাকা।
শেষ কথাঃ bicozin tablet এর উপকারিতা এবং বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বিকোজিন ট্যাবলেট এর কাজ কি, কিসের ঔষধ, বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়, বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, bicozin tablet এর উপকারিতা, বিকোজিন ট্যাবলেট এর অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্টিকেল গুলো পড়ে নিজের জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি করতে পারেন। তো আজকে এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য ততক্ষণ সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।