আমার বাবা একজন প্রবাসী in english translation কি হবে জানুন

আমার বাবা একজন প্রবাসী in english লিখে অনেকেই গুগলে সার্চ দেয় কারণ এই ধরনের
translation গুলো শিক্ষকেরা হোম ওয়ার্ক হিসাবে দিয়ে থাকে। এছাড়া অনেকে সাধারণত
এই সম্পর্কে না জানার কারণেও সার্চ দিয়ে থাকে। যদিও এটি গুগলের সার্চ করা মাত্রই
featured snippet আকারে পেয়ে যাবেন তবুও অতিরিক্তভাবে আমার বাবা একজন প্রবাসী in
english জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

ইংরেজি জানা প্রত্যেকটি স্টুডেন্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য বলে
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি। যারা ইংলিশ সাবজেক্টে দুর্বল রয়েছে আর তাদের উচিত
ইংরেজির বিষয়ে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া। কারণ ছাত্র জীবন শেষে চাকরি জীবনের
ক্ষেত্রে যারা ইংরেজিতে পারদর্শী তারা প্রত্যেকটি সেক্টরে অগ্রাধিকার লাভ করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আমার বাবা একজন প্রবাসী in english সম্পর্কে।

সাধারণত প্রবাসীরা তাদের জীবন দশায় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে। বাংলাদেশের
জনগণের তুলনায় কর্মসংস্থান খুবই কম এবং নিম্নমানের। তাই অনেকে কর্মের
উদ্দেশ্যে প্রবাস জীবনের যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশের যেরকম যেকোনো কাজ করতে
গেলে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ঠিক একই ভাবে বিদেশেও ভালো কিছু করতে হলে
অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা লাগবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে, ভিতরে কি থাকে, কালো হয় কেন, পিক

উদাহরণ হিসাবে বলা যায় একটি দক্ষতার ভিত্তিতে আপনি যদি বাংলাদেশের দশ টাকা ইনকাম
করতে পারেন ঠিক একই রকম দক্ষতা দিয়ে বিদেশে গিয়ে ১০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে
পারবেন, যা ১০ গুণেরও বেশি। একদিকে যেরকম তারা ইনকাম করতে পারে ঠিক
অন্যদিকে তাদের জীবনে রয়েছে অনেক দুঃখ কষ্ট এবং বেদনা।

আরো পড়ুনঃ শর্টে জানো ফিমেল মানে ছেলে না মেয়ে – মেল মানে ছেলে না মেয়ে

যারা নিজের জন্মস্থান ছেড়ে কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাত্রা করে তারা সর্বপ্রথম
সামাজিকতা থেকে বঞ্চিত হয়। যাদের সাথে ছোট বেলা থেকে বড় হয়ে উঠেছে
দীর্ঘদিনের জন্য তাদের আর দেখতে পারেন এবং তাদের সাথে আন্তরিক অনুভূতি প্রকাশ
করতে পারেনা। পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গন করে প্রবল মানসিক শক্তি যুগিয়ে বিদেশে
যেতে হয়।

বিদেশে পৌঁছানোর পর ওই দেশের আলাদা ভাষা আলাদা সংস্কৃতি এবং আলাদা ধর্ম ও গোত্রের
মানুষের সাথে বসবাস করতে হয়। অনেকেই এই পরিবেশকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে
পারে আবার অনেকের নতুন পরিবেশের সাথে মিলিত হতে অনেক সময় লাগে। মানুষ
যেহেতু অভ্যাসের দাস তাই আস্তে আস্তে এগুলো ভাষা পরিণত হয়ে যায়।

আত্মীয়-স্বজন যদি কেউ মারা যায় তাহলে তারা আসতে পারে না। আবার জীবনের
আনন্দঘন মুহূর্তগুলো যেমন ঈদ, পারিবারিক অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান
এবং অন্যান্য আনন্দের মুহূর্তগুলোতে উপস্থিত থাকতে পারেনা। যদিও আর্থিকভাবে
তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে তারপরেও মানসিকভাবে তারা দুঃখ কষ্টের জীবন যাপন করে।

তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। প্রবাসীদের
আরেকটি নাম রয়েছে যেটি হল রেমিটেন্স যোদ্ধা। একটি তথ্যসূত্রে পাওয়া যায়
২০২১ সালে যারা বাংলাদেশের বাইরে অর্থাৎ প্রবাসে ছিল তারা মোট আয় করেছে ২ লাখ ৩৩
হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের জিডিপির ৫.২৭ শতাংশ। এই কারণে ২০২১
সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে প্রবাসী আয়ের দিক দিয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল।

আমি ১০০% সিওর, আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা
পরিচিত মানুষদের মধ্যে একজন হলেও প্রবাসে থাকে। তো যারা প্রবাসে থাকে অবশ্যই
আমাদের তাদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানানো উচিত। আর এই অংশটুকু যদি আপনি
মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন প্রবাসীদের জীবন কেমন হয়
এবং প্রবাসীদের অবদান সম্পর্কে।