সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও বেল্ট পরার নিয়ম জানুন

সন্তান জন্মদানের দুইটি পদ্ধতির মধ্যে সিজার অনেক জনপ্রিয় এবং নিরাপদ বলে চিকিৎসকের দাবি করেছেন। তবে যারা গর্ভাবস্থার ধারণ করেন তাদের প্রত্যেকের সিজার সম্পর্কিত সকল তথ্য বিশেষ করে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ জেনে রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে আপনারা আর কিছু জানেন বা না জানেন, সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি এবং সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো ভালোভাবে জেনে নেবেন।সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও বেল্ট পরার নিয়ম জানুনআমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই পর্যন্ত আমার চোখের সামনে যতগুলো সিজার করা হয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিজারকৃত নারীরা প্রশ্ন করেছেন যে সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি বা কি করবো? আবার অনেকেই ইনফেকশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে, যার ফলে জানতে কল দিয়ে বলে প্লিজ সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো বলেন আমার ভয় করছে।

সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়

বর্তমানে সন্তান জর্ন্মদানের জন্য অনেকের সিজার করতে হয় তবে সিজার করার পরে অনেকের দেখা যায় সেলাই ব্যাথা করে। তাই আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে সিজারের পর সেলাই কেন করে কিংবা সিজারের পর সেলাই ব্যাথা কেন হয়।
 
সাধারণত যেখানে সেলাই করা হয় সেখানে যদি ময়লা জমে তাহলে ব্যাথা হতে পারে। আবার অনেক সময় সেলাই এর ওখানে ঘাম জমার কারণে ব্যথা হতে পারে। তাই আপনি যদি এই ব্যাথা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
তার পাশা পাশি যেখানে সেলাই করা হয়েছে সেখানে যেন কোনো আঘাত না লাগে খেয়াল রাখবেন। কেননা অনেক সময় দেখা যায় সেলাই এর ওখানে আঘাত লাগার কারণে চামড়া ফাক হয়ে যায়। যার কারণে সেখান থেকে আবার ব্যাথা শুরু হয় তাই আপনি খেয়াল রাখবেন কোনো রকম আঘাত যেন না লাগে।
 
তবে সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হালকা পরিমাণ থাকতে পারে। তবে আপনার যদি বেশি ব্যাথা করে তাহলে আপনি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি।

সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়

সিজার করার পর সেলাই কাটা নিয়ে অনেকে চিন্তায় থাকে। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়। তবে তার আগে আপনাদের জানা উচিত সেলাই আসলে কয় ধরণের হয়।
 
প্রিয় পাঠক সিজারের সেলাই হঊ সাধারণত ২ ধরণের,একটি হলো কসমেটিক সেলাই যেটা সিজারের পর করা হলে এই সেলাই আর কাটতে হয় না। আর অপরটি হলো সাধারণ সেলাই যা আপনার সিজারের কিছু দিন পর একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে সেখানে কাটতে হয়ে। আপনি যদি এই সাধারণ সেলাই করেন সিজারের জন্য তাহলে আপনাকে ১০ তম দিনে মানে ১০ দিনের দিন আপনি সিজারের সেলাই কাটতে পারেন।সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়
সিজারের সেলাই কাটার পরে সেখানে ব্যান্ডেজ করতে হবে। তবে ব্যান্ডের করার আগে সেলাই কাটার পরে সে স্থানে খুব ভালো মতো ড্রেসিন করতে হবে। ড্রেসিন করা হয়ে গেলে তখন আপনি ব্যান্ডেজ করে নিবেন। এ ছাড়া আর্টিকেলটি আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আরো জানতে পারবেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে যা অত্যাধিক জরুরী জানা।
 
এই ব্যান্ডেজটি আপনি ৩ দিন রাখবেন। ৩ দিন পার হওয়ার পরে আপনি ব্যান্ডেজ খুলে ভালো মতো গোশল করে নিবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন তাহলে আপনার শরীরে জীবণু আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন। আর মনে রাখবেন সিজারের পরে সেলাই এর যত্ন আর নিয়মিত ব্যয়াম আপনাকে আগের মতো গড়ে তুলতে অনেকটা সহায়ক হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়।

সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয়

বর্তমানে একটি গর্ভাবতী মায়ের সিজার করে বাচ্চা জন্মদানের সময় অনেকটা ঝুঁকিতে থাকে তাদের জীবন। তাই এই সময় মায়েদের নিজের প্রতি অনেকটা যত্ন হতে হবে। কেননা আপনি যদি সিজারের পর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকেন তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
 
তার ভেতরে একটি উন্নতম সমস্যা হল সিজারের পর ব্যথা হওয়া। এটা বর্তমানে অনেক মায়েদেরই হয়ে থাকে, তবে সিজারের পর ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সিজারের সেলাইয়ের জায়গাটাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা।
অনেক সময় দেখা যায় সেখানে ঘাম জমে আছে যার কারণে চুলকানি হতে পারে। এছাড়াও চুলকানোর জন্য সেখানে ব্যথা হতে পারে এককথায় ইনফেক্যাশন হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তার পাশাপাশি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সিজারের সেলাই করার স্থানে কোন আঘাত যেন না লাগে।
 
অনেক সময় আঘাত লাগার কারণে সেলাই খুলে যেতে পারে। তার থেকে ব্যাথা শুরু হতে পারে তাই আপনি সবসময়ই বিশ্রামে থাকবেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয় গুলো।

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনাদের ভেতরে অনেক মায়েরা আছেন যাদের বাচ্চা হয়েছে সিজার এর মার্ধ্যমে। তবে আপনি কি জানেন সিজারের পরে কি কি সমস্যা হতে পারে। হয়তো আপনার জানা নেই সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ কি কি।
 
তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জানাবো সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো নিয়ে বিস্তারিত। সিজারের পর ইনফেকশন হওয়ার মূল কারণ গুলোর মর্ধ্যে প্রথম কারণ হলো সিজার করার পর সেলাইয়ের স্থানে ভেজা থাকা বা অপরিষ্কার রাখা।সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ
এই কারণে সেখানে অনেক রোগ জীবাণু থাকে যার ফলে সেখান থেকে চুলকানি এবং সেলাইয়ের জায়গাতে ব্যাথা হতে পারে এমন কি ইনফেকশনের কারণে মারাক্তক ক্যান্সার ও হতে পারে। তাই এই সময়ে মায়েদের নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া অনেক জরুরী। আশা করি বুঝতে পেরছেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সমূহ।

সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

আপনার যদি সিজারের পরে ইনফেকশন হয় তাহলে এটা নিয়ে মোটেও আপনি অবহেলা করবেন না। কেননা এই ইনফেকশনের জন্য সে স্থান থেকে আপনার ক্যান্সার ও হতে পারে তাই এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি তা নিয়ে বিস্তারিত।
 
প্রিয় মায়েরা আপনারা জানেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাই আপনি যদি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন ভাবে জীবনযাপন করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। তাই সিজারের পরে সেলাইয়ের স্থানে আপনি পানি লাগাবেন না।
আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ঘাম হয় তাহলে আপনি সেলাইয়ের স্থানে মুছে নিবেন। কেননা সেলাইয়ের স্থানে যদি আপনার ভেজা থাকে কিংবা পানি জমে থাকে সেখান থেকে আপনার চুলকানি ছাড়াও ব্যাথা হতে পারে তাই এই দিকে আপনি খেয়াল রাখবেন।
 
আপনার যদি সিজারের পর ইনফেকশন হয় তাহলে এটা নিয়ে অবহেলা না করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতেপারে। তাতে যদি না কমে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় গুলো

শেষকথাঃ সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ কি তা নিয়ে বিস্তারিত আশা করি আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর আপনি যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + five =