লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা

আজকের এই আর্টিকেলে লাম্পি স্কিন রোগ বা লাম্পি স্কিন ডিজিজ সম্পর্কে সকল তথ্য
যেমনঃ লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি, লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ, লাম্পি স্কিন রোগের
প্রতিকার, লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, গরুর লাম্পি স্কিন রোগের ভ্যাকসিন, লাম্পি
স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি, লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ, লাম্পি স্কিন রোগের প্রতিকার, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ গরুর চর্ম রোগের চিকিৎসা, লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা, লাম্পি স্কিন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
তাই আপনি যদি লাম্পি স্কিন রোগ বা লাম্পি স্কিন ডিজিজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। যেহেতু এটি গরুর একটি
জটিল রোগ তাই এই রোগের সমাধান পেতে গেলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে মূল
আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
 

ভূমিকাঃ লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া
চিকিৎসা

এই আর্টিকেল জুড়ে লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি, লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ, লাম্পি
স্কিন রোগের প্রতিকার, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ গরুর চর্ম রোগের চিকিৎসা,
লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম, লাম্পি স্কিন ডিজিজ
এর ঘরোয়া চিকিৎসা, লাম্পি স্কিন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে।

লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি

লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ ও লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানার
পূর্বে লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি তা জেনে নেওয়া উচিত। তাই আপনাদের সুবিধার্থে
আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি তা আলোচনা করা হলো। তো চলুন
জেনে নেওয়া যাক লাম্পি স্কিন ডিজিজ কি এবং এটি কিভাবে হয় সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত।
 
২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা দেয় এবং বর্তমান সময়ে
গরুর রোগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর এবং সমালোচিত রোগটি হলো লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা
এলএসডি। লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হলো গরু ও মহিষের একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
এটি Poxviridae পরিবারের Capripoxvirus জাতের ভাইরাস কারণে সৃষ্টি হয়। এই
ভাইরাসটি শুধুমাত্র গরুকে আক্রমণ করে না বরং এই ভাইরাসটি মহিষকেও আক্রমণ করতে
পারে। তবে এই ভাইরাসটি মহিষের তুলনায় গরুকে বেশি আক্রমণ করে। অর্থাৎ এই ভাইরাস
দ্বারা গরু আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ

আর্টিকেলের উপরের অংশ পড়ে হয়তো আপনি জানতে পেরেছেন লাম্পি স্কিন রোগের কারণ
কি বা এটি কেন হয় এই সম্পর্কে। এখন আপনাদের জানানো হবে লাম্পি স্কিন রোগের
লক্ষণ কি বা কি লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) বা
ডিজিজ হয়েছে। এই রোগের একটি ভয়ংকর এবং শক্তিশালী লক্ষণ রয়েছে যেটি দেখলেই
আপনি বুঝতে পারবেন গরুর গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) বা ডিজিজ হয়েছে।
 
লাম্পি স্কিন রোগের প্রধান এবং প্রথম লক্ষণ হলো গরুর চামড়ায় বা স্ক্রিনে গুটি
বা ফুসকুড়ির মত হয়ে ফুলে যাওয়া এবং প্রচন্ড পরিমানে জ্বর আসা। এছাড়া আরো
লক্ষণ রয়েছে যেমনঃ খাওয়া বন্ধ করা, দুধ কমে যাওয়া, অলসতা, শ্বাসকষ্ট, মুখ ও
নাক দিয়ে লালা ঝরা, পায়ে ফোলা ইত্যাদি। এই রোগটি আক্রমণ করলে প্রথমে গরুর
মাথায় ও পিঠে গুটি বা ফুসকুড়ির মত হয়ে ফুলে যায় তারপরে ধীরে ধীরে এটি সমগ্র
শরীরে দেখা দেয়। গরুর পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে ছোট আকারে গুটি বা
ফুসকুড়ির মত ফুলতে থাকে এবং পরে এগুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।
 
একটি পর্যায়ে এই গুটি বা ফুসকুড়ি গুলো ফেটে যায়। অনেকে মনে করে এই সময়
গরুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এই রোগটি
শুধুমাত্র গরুর স্ক্রিনে বা চামড়াতেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যখন
গুটি বা ফুসকুড়িগুলো গরুর পায়ের জয়েন্টে আক্রমণ করে ফেটে যায় তখন
সর্বোচ্চ এগুলো জয়েন্টের মাংসে কিংবা হাড়ে আক্রমণ করতে পারে।
 
কিন্তু এই রোগটি কখনোই গরুর হৃৎপিণ্ডে আক্রমণ করে না। যেসব গরুর চামড়া ঢিল
সেসব গরুকে এই লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বা রোগটি সবচেয়ে বেশি আক্রমণ
করে। আমার ব্যক্তিগত গবেষণা অনুসারে শাহীওয়াল জাতের গরু এই লাম্পি স্কিন
ডিজিজ (এলএসডি) বা রোগের প্রধান শিকার। আর আপনারা হয়তো জানেন শাহীওয়াল
জাতের গরুর চামড়া সবচেয়ে ঢিল।
 
তবে এই রোগের আক্রমণে গরুর মৃত্যু সম্ভাবনা কম। বিশেষ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি
গ্রহণ করলেই এই রোগ থেকে গরুকে মুক্ত করা যায়। তবে এই রোগ যদি কোন বাছুরের
হয় তাহলে অধিকাংশ বাছুরই মারা যায়। একটি গবেষণার তথ্য মতে লাম্পি স্কিন
ডিজিজ (এলএসডি) বা রোগে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে শাহীওয়াল জাতের বাছুর।

লাম্পি স্কিন রোগের প্রতিকার, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ গরুর চর্ম রোগের
চিকিৎসা

লাম্পি স্কিন রোগের প্রতিকার হিসাবে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, গরুর লাম্পি স্কিন
রোগের ভ্যাকসিন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর হোমিও চিকিৎসা এবং লাম্পি স্কিন ডিজিজ
এর ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে। আপনি চাইলে চিকিৎসার ধরন, কার্যকারিতা এবং খরচ
অনুসারে চিকিৎসা পদ্ধতি পছন্দ করে লাম্পি স্কিন রোগের প্রতিকার বাছাই করতে
পারেন।
 
আমাদের আর্টিকেল এর নিচের অংশগুলোতে উল্লেখিত লাম্পি স্কিন রোগের প্রতিকার
গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি চাইলে ওই অংশগুলো সম্পূর্ণ পড়ে এবং
বিস্তারিত জেনে আপনার গরুর চিকিৎসা করতে পারবেন। তাই বিস্তারিত জানতে হলে
আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম

পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়ের প্রথম অংশে প্রবেশ
করেছেন। ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকায় এবং পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন দেশের ছড়িয়ে
পড়ে। ২০১৯ সালে লাম্পি স্কিন রোগটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রথম ধরা পড়ে।
পরবর্তীতে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সমগ্র দেশের গবাদি পশু পাখির মধ্যে এই
রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
 
যখন এই রোগটি প্রকট রূপ ধারণ করে তখন বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ গবেষণা
ইনস্টিটিউট এবং প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের বিজ্ঞানীরা এই রোগটি নিয়ে গবেষণা
শুরু করে। বিজ্ঞানীরা সেই সময় আক্রান্ত প্রাণীর শরীর থেকে লাম্পি স্কিন
রোগের নমুনা সংগ্রহ করে PCR নামক একটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগটির নাম
নির্ধারণ করেন।
 
অনেকে মনে করে এই রোগটির নাম শুধুমাত্র লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD)। কিন্তু
মোটেও এমনটি নয়, কারণ এই ভাইরাসটির আরেকটির নাম হল পক্স। এই ভাইরাসটি যখন
ছাগলকে আক্রমণ করে তখন এই ভাইরাসের নাম হয় Goat Pox এবং Sheep pox যখন যখন
ভেড়াকে আক্রমণ করে। এই ভাইরাসটি মশা, মাছি ইত্যাদির মাধ্যমে একটি প্রাণী
থেকে অন্য প্রাণীর শরীরে আক্রমণ করে।
লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ ও লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম এর চিত্র-১
 
তাই লাম্পি স্কিন রোগ হলে গরুকে ওষুধ খাওয়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল লাম্পি
ভাইরাসের বিস্তার হতে না দেওয়া। খামারের চারিপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
মশা জন্মানোর পরিবেশ ধ্বংস করা যাতে মশা ও মাছি জন্মাতে না পারে। আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো যদি আপনার গরুর বা কোন প্রাণীর লাম্পি স্কিন রোগ হয়
তাহলে সেই প্রাণীকে যে খাদ্য খাওয়াবেন তার উচ্ছিষ্ট খাবার অন্য কোন প্রাণীকে
দেওয়া যাবে না।
 
এই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরেও অনেকে জিজ্ঞেস করে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ এর
নাম কি ও লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম কত টাকা? তাদের সুবিধার্থে আমাদের
আর্টিকেলের এই অংশে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ এর নাম এবং লাম্পি স্কিন ডিজিজ
ভ্যাকসিন দাম জানানো হবে। তাই আপনিও যদি লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ এর নাম জানতে
চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
 
যখন প্রথম লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় সাধারণ প্রতিষেধক হিসাবে
ব্যথা নাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় বিভিন্ন ঔষধ যেমনঃ নাপা, প্যারাসিটামল
ও হিস্টাসিন জাতীয় ঔষধ গরুকে খাওয়াতে হবে। কারণ প্রথম অবস্থায় গরুর গায়ে
মারাত্মক জ্বর থাকে। তাই এই সময় উপরোক্ত ঔষধ গুলো খাওয়ালে গরুর জ্বর কমে
যায় এবং গরুর শরীরের ব্যথা কমতে থাকে।
 
গুটি বা ফুসকুড়ি প্রথম দিকে যখন ফুলে উঠবে তখন আয়োডিন মিশ্রিত পেস্ট দিয়ে
গুটি বা ফুসকুড়ির উপরে প্রলেপ দিতে হবে। যদি গুটি বা ফুসকুড়ি কমে যায়
তাহলে ভালো আর যদি আরো ফুলে ওঠে এবং পরবর্তীতে যখন গুটি বা ফুসকুড়ি ফেটে
যাবে তখন Povisep solution ক্রিম দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার করতে হবে।
আর আপনি যদি Povisep solution ক্রিম ক্রয় করতে না চান সেক্ষেত্রে আয়োডিন
মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করলেও হবে।
 
আপনি চাইলে সেসময়ে গরুকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের দ্রবণ বা মিশ্রণ খাওয়াতে
পারেন যার ফলে গরুর শারীরিক পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন হবে। আপনি চাইলে
কোবাল্ট মিশ্রণ, জিংক, কপার সালফেট মিশ্রণ, ফেরাস সালফেট খাওয়াতে পারেন।
আমাদের আর্টিকেলের এই পর্যায়ে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ
ভ্যাকসিন দাম উল্লেখ করা হবে।
  • ব্যথা কমানোর ঔষধ
  • অ্যান্টিহিস্টামাইন
  • এন্টিপাইরেটিক
  • Fast-Vet
  • Pyralgin Vet
  • এন্টিবায়োটিক
  • ভিটামিন-বি ইনজেকশন
Lumpyvac আপনি চাইলে এই জাতীয় ওষুধগুলো লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রাণীকে
খাওয়াতে পারেন। কারণ অ্যান্টিহিস্টামাইন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলি কমাতে
সাহায্য করতে পারে যা এলএসডির একটি সাধারণ লক্ষণ। আর যদি আক্রান্ত প্রাণীতে
গৌণ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হয় তবে এন্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। তবে
অবশ্যই এই ওষুধগুলো খাওয়ানোর পূর্বে একজন পশু চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।
 
কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করার কারণে রোগের মাত্রা আরো
বেড়ে যেতে পারে। তাই সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বনের জন্য লাম্পি স্কিন রোগের
চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ।
 
Lumpyvac হল লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর সবচেয়ে কার্যকরী এবং শক্তিশালী একটি
প্রতিষেধক। যদিও বাংলাদেশ এটি উৎপাদন হয় না এটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে
আমদানি করে আনতে হয়। তবে বাংলাদেশ Lumpyvac ভ্যাকসিনটি Rafique Medicine Bangladesh নামের কোম্পানিটি আমদানি করেছে। তাই Rafique Medicine Bangladesh
কোম্পানির উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
 
লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। আপনি যেকোন
ভেটেনারি ঔষধের দোকানে এই ভ্যাকসিনটি পেয়ে যাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন
লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভ্যাকসিন দাম সম্পর্কে সকল তথ্য
বিস্তারিত। আর্টিকেলের নিচের অংশ লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা, লাম্পি স্কিন রোগের ঘরোয়া
চিকিৎসা

লাম্পি স্কিন রোগ শুধুমাত্র লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ বা ভ্যাকসিন এর মাধ্যমেই
কমানো যায় বিষয়টি এরকম নয়। আপনি চাইলে লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা
পদ্ধতি গ্রহণ করেও লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রাণীকে এই রোগ থেকে মুক্ত করতে
পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে
হবে।
 
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাপ্তবয়স্ক গরুর জন্য বেশ কয়েকটি টোটকা রয়েছে যেগুলো
আপনি আপনার বাড়িতেই তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম ঘরোয়া মাধ্যমে
লাম্পি স্কিন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কয়েকটি উপকরণের প্রয়োজন।
উপকরণগুলো হলোঃ ১০ টি পান, ৫ টি কাঁচামরিচ এবং ২ চামচ লবণ।
 
গরু যদি পান, কাঁচামরিচ এবং লবণ খালি খালি খেতে পারে তাহলে খালিই খাওয়াবেন।
আর যদি এগুলো খালি খেতে না চায় তাহলে পান এবং কাঁচা মরিচ ব্লেন্ডার মেশিনে
ব্লেন্ডার করবেন এবং এতে লবণ দিয়ে এক লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশ্রণ করবেন।
সঠিকভাবে মিশ্রন করার পরে পানি মিশ্রিত পান, কাঁচামরিচ এবং লবণ গরুকে
খাওয়াবেন।
 
প্রাপ্তবয়স্ক গরু বলতে বোঝানো হচ্ছে যেসব গরুর বয়স ৫ বছরের উপরে তাদের জন্য
উপরোক্ত টোটকাটি গুটি বা ফুসকুড়ি বের হওয়ার প্রথম ২ দিন দিনে ৪ বার খাওয়াবেন
এবং পরবর্তীতে দিনে ২ বার খাওয়ালেই যথেষ্ট। তবে যেসব গরুর বয়স ৫ বছরের নিচে
তাদের জন্য টোটকাটির একটু ভিন্নতা রয়েছে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর ঘরোয়া চিকিৎসা ও লাম্পি স্কিন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর ছবি-২
যেসব গরুর বয়স ৫ বছরের নিচে তাদের জন্য ঘরোয়া টোটকার উপকরণ হলোঃ ৫ টি পান,
৩ টি কাঁচামরিচ এবং ১ চামচ লবণ। এই উপকরণগুলো ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ডার করে
১ লিটার পানিতে মিশ্রণ করতে হবে। মিশ্রিত এই পানি প্রাপ্তবয়স্ক গরুর মত একই
নিয়মে খাওয়াতে হবে। এই নিয়মে খাওয়ালে লাম্পি স্কিন রোগের মাত্রা ধীরে
ধীরে কমতে থাকবে।
 
লাম্পি স্কিন রোগের দ্বিতীয় ঘরোয়া টোটকা তৈরি করার উপকরণ হলোঃ নিম পাতা ৫০
গ্রাম, খাবার সোডা ৫০ গ্রাম এবং গুড় ১০০ গ্রাম। তবে গরুর যদি জ্বর থাকে তাহলে
প্যারাসিটামল ট্যাবলেট যুক্ত করে নেবেন গরুর বয়স এবং ওজন অনুসারে। এই
উপকরণগুলো এক লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশ্রণ করে দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে।
যতদিন পর্যন্ত প্রাণীর লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো না কমে ততদিন
পর্যন্ত এভাবেই ঘরোয়া টোটকাটি খাওয়াতে হবে।
 
লাম্পি স্কিন রোগের তৃতীয় ঘরোয়া টোটকাটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
হলোঃ ১০০ গ্রাম মেথি, ২০ গ্রাম হলুদ, ১০ টি রসুনের কোয়া, ১ মুষ্টি নিমপাতা, ১
মুষ্টি মেহেদী পাতা, ১ মুষ্টি পুদিনা পাতা বা ধনিয়া পাতা। এই উপকরণগুলো
ভালোভাবে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ডার করে কিংবা পাটায় বেটে মিশ্রণ তৈরি করতে
হবে। এই মিশ্রণটি ৫০০ গ্রাম নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে তরল দ্রবণ তৈরি করতে
হবে।
 
যখন গুটি বা ফুসকুড়ি ফেটে যাবে তখন ওই আক্রান্ত স্থানে তরল দ্রবণটি ভালোভাবে
লাগাতে হবে। যতদিন পর্যন্ত গুটি বা ফুসকুড়ি ভালো না হয় ততদিন পর্যন্ত দিনে
দুইবার এই দ্রবণটি লাগাতে হবে। আর্টিকেলের এই অংশে লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর
ঘরোয়া চিকিৎসা যেসব উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি সঠিকভাবে এগুলো ব্যবহার করতে
পারেন তাহলে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ ছাড়াই শুধু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে
লাম্পি স্কিন রোগ ভালো করা সম্ভব।

ব্যক্তিগত মতামতঃ লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে লাম্পি স্কিন রোগের ঔষধ ও লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর
ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে ঔষধ কিংবা
ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে লাম্পি স্কিন রোগ ভালো করতে পারবেন। আশা করি আজকের এই
আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি থেকে উপকৃত হলে বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =