প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন, আপনি কি জানতে চান যে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় সেই দোয়াটি? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলে জানানো হবে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই সেই দোয়াটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আর্টিকলটি পড়তে থাকুন।
যারা ইসলাম ধর্মালম্বী বা ইসলাম অনুরাগী ব্যক্তিরা রয়েছে তারা অনেকেই প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে। তবে এই নামাজকে আরো ফজিলত পূর্ণ করার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। সেজন্য আপনাদের অনুরোধে আলোচনা করা হবে সেই দোয়া সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশে পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন
Toggleতাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
যেহেতু তাহাজ্জত নামাজ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক উদ্দীপনা রয়েছে তাই অনেকে মনে করে তাহাজ্জত নামাজ সুন্নত। এজন্য অনেকে প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল? বর্তমানে আমাদের দেশে ফরজ বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কোন আলোচনা বা সতর্কতা নেই। মানুষের মধ্যে সবথেকে আলোচনার বিষয় হলো নফল ও সুন্নত নিয়ে।
যেটা না করলেও হবে আবার করলেও সমস্যা নেই এই ধরনের জিনিসগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে যত সমালোচনা। তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নত, এ বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। কিছু আলেমের মতে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত।
তাহাজ্জুদ নামাজকে সুন্নত বলেছেন তার কিছু দলিল নিচে দেওয়া হলঃ
- নবী (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন। বুখারী ও মুসলিমের হাদিসে এসেছে, “রাতের কিছু অংশ জাগ্রত থেকে নামাজ আদায় করা আমার উপর সুন্নত করা হয়েছে।”
- তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য আযান দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। মুসলিমের হাদিসে এসেছে, “তাহাজ্জুদের জন্য আযান দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, কিছু আলেমের মতে তাহাজ্জুদ নামাজ নফল। তাদের যুক্তি হলোঃ
- তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের নির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই।
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ও না পড়া ব্যক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। যদি কেউ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে না চায় তাহলে তার কোন গুনাহ হবে না।
- তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। নবী (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ বিভিন্ন রাকাতে আদায় করতেন।
সুতরাং, তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এ বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে নবী (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন এবং তা উম্মতের জন্য উৎসাহিত করেছেন। তাই, তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয় কেন
আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ অতি উত্তম একটি মাধ্যম। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে বান্দা তার রবের সন্নিকটে আসতে পারে। রাতের শেষভাগে আল্লাহর শেষ আসমানে আসেন যার ফলে তখন পৃথিবীর উপরে আলাদা রহমত বর্ষিত হয়। আর যেহেতু তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষভাগে পড়তে হয় সেক্ষেত্রে আলাদা ফজিলত পাওয়া যায়। তবে আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এ সম্পর্কে, যা এই আর্টিকেলেই আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ শেষ আসমানে এসে সকলের সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। আর আপনি যদি ওই সময়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তাহলে তিনি আপনাকে কখনোই ফেরাবে না। আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতিনিয়ত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং নামাজ পড়ার জন্য তিনি তার উম্মতকে আহ্বান করেছেন। আবার অন্যদিকে নফল নামাজের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।
এছাড়া আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যার ফলে তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়। এই কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. সময়ের গুরুত্ব
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ প্রহরে আদায় করা হয়, যখন আল্লাহ পৃথিবীর নিকটে নেমে আসেন এবং তাঁর বান্দাদের প্রার্থনা পরিলক্ষণ করেন। হাদিসে এসেছে, “রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ প্রতি রাতে নিকটে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছে যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেবো। কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো।'” (তিরমিযি)
২. মনের একাগ্রতা
তাহাজ্জুদের সময় সাধারণত ঘুমের ঘোর থাকে, ফলে মন থাকে একাগ্র। একাগ্র মন দিয়ে করা দোয়া আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।
৩. আন্তরিকতা
তাহাজ্জুদের সময় মানুষ সাধারণত দুনিয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত থাকে। ফলে তাহাজ্জুদের দোয়া হয় বেশি আন্তরিক। আর আন্তরিক দোয়া আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।
৪. বিশেষ মর্যাদা
তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলামে একটি বিশেষ মর্যাদাশীল নামাজ। তাই তাহাজ্জুদের দোয়া আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।
৫. নবীজির অনুসরণ
নবী (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন এবং উম্মতের জন্য উৎসাহিত করেছেন। নবীজির অনুসরণ করা একটি বড় নেক আমল। যেহেতু তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত ও নফল দুটাই তাই আপনি যদি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন তাহলে একসাথে সুন্নত ও নফল আদায় করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনারা যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন তারা অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয় কেন এই সম্পর্কে।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত ও নিয়ম। তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা
অনেকে যারা তাহাজ্জুদের নামাজ কখনো আদায় করেনি বা যারা তাহাজ্জুতের নামাজ সম্পর্কে জানেনা তাদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ম ও নিয়ত কি? আবার অনেকে প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলায় করলে হবে কিনা? তাদের সুবিধার্থে বলতে চায় আপনি যদি মুখে কোন নিয়তই না করেন তাও নামাজ হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত হচ্ছেঃ ” আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করলাম” আপনি যদি বাংলায় শুধুমাত্র এই কথাটুকু বলেন তাহলেও আপনার তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত হয়ে যাবে।আর যদি আপনি আরবিতে নিয়ত করতে পারেন তাহলে আরবিতে বলবেন।
নিয়ত হচ্ছে অন্তরের বিষয় অর্থাৎ আপনি অন্তরে যা কল্পনা করবেন সেটাই হবে নিয়ত। নিয়তের করতেই হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি যদি আরবিতে নিয়ত না পারেন তাহলে বাংলায় করবেন। আর যদি বাংলাতেও না পারেন তাহলে শুধু মনে মনে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে নামাজ পড়া শুরু করবেন।
আর আপনি হয়তো অবশ্যই জানেন অন্তরের খবর আল্লাহ জানে, তাই আপনি যেই উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন তার কারণ আল্লাহ অবশ্যই জানেন। তাই নিয়ত নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেই। তাই আপনি যদি নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে নাও পড়েন তাহলেও আপনার নামাজ হয়ে যাবে। আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আপনাদের কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই।
নিয়তের চেয়ে মানুষের আগ্রহের বিষয় হল তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এই সম্পর্কে । যারা জীবনেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেনি তারা অনেকে প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কি? অনেকের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানা নিয়ে দুশ্চিন্তিত থাকে। অনেকে মনে করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অনেক কঠিন বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম অনেক কঠিন।
তাদের সুবিধার্থে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বাস্তব জীবনে তা আমল করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় হচ্ছে এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়। আপনি এই সময়ের যেকোন অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন এতে কোন দ্বিমত নেই। তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো আর শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। তাহাজ্জত নামাজের সময় সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
এখন জানবেন তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত অর্থাৎ আপনি কত রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবেন। তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাআত এবং সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত। হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাআত, চার রাকাআত, দশ রাকাআত হিসাব করেছেন। অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেছেন।
তাই আপনি চাইলে দুই রাকাআত করে সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত পর্যন্ত আদায় করতে পারবেন। তবে আপনি চেষ্টা করবেন সর্বনিম্ন ৮ রাকাআত পড়ার জন্য। কারণ অধিকাংশ সময়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাই উম্মত হিসেবে আমাদের ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়াই ভালো। আর যদি সম্ভব না হয় সর্বনিম্ন ৪ রাকাআত আদায় করবেন।
প্রতি রাকাতে ফাতিহা সূরা ও অন্য কোনো সূরা বা আয়াত তিলাওয়াত করবেন। এগুলো অনুসরণ করে অন্যান্য নামাজের মত ঠিক একই নিয়মে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য আলাদা কোন নিয়ম নেই। এখানে পার্থক্য হল শুধু সময়ের। অন্যান্য নামাজের মত একই নিয়মে তাহাজ্জুদের নির্দিষ্ট সময়ে আদায়কৃত নামাজকেই তাহাজ্জুদের নামাজ বলে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। তাহাজ্জুদ
নামাজের সিজদার দোয়া
যেহেতু তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় অর্থাৎ
আল্লাহকে রাজি খুশি করা যায় তাই এই তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া রয়েছে
যেগুলো প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদায় পড়তে হয়। আপনি যদি তাহাজ্জুদ
নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার এই দোয়াটি পড়বেন।
আল্লাহকে রাজি খুশি করা যায় তাই এই তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া রয়েছে
যেগুলো প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদায় পড়তে হয়। আপনি যদি তাহাজ্জুদ
নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার এই দোয়াটি পড়বেন।
এই ছোট্ট দোয়াটি আপনি যদি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজের সেজদায় পড়তে পারেন
তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন। এই দোয়াটি এত ক্ষমতা সম্পন্ন
যে, এই দোয়াটি করতে দেরি হয় কিন্তু কবুল হতে দেরি হয় না। তাই আপনি যদি এই
দোয়াটি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে পড়তে পারেন তাহলে আপনার সকল মনের আশা
পূরণ হয়ে যাবে।
তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন। এই দোয়াটি এত ক্ষমতা সম্পন্ন
যে, এই দোয়াটি করতে দেরি হয় কিন্তু কবুল হতে দেরি হয় না। তাই আপনি যদি এই
দোয়াটি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে পড়তে পারেন তাহলে আপনার সকল মনের আশা
পূরণ হয়ে যাবে।
যারা মুসলিম ধর্মালম্বী রয়েছে তাদের কাছে তাহাজ্জুদ নামাজ অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি করা যায়। এই নামাজের
মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায়। তাই মুসলিম ধর্মালম্বীরা এই নামাজকে
আরোসমৃদ্ধি করার জন্য প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এই সম্পর্কে।
গুরুত্বপূর্ণ। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি করা যায়। এই নামাজের
মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায়। তাই মুসলিম ধর্মালম্বীরা এই নামাজকে
আরোসমৃদ্ধি করার জন্য প্রশ্ন করে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এই সম্পর্কে।
এমন অনেক দোয়া রয়েছে যেগুলো পড়লে আল্লাহ মনের ইচ্ছা পূরণ করে। বিশেষ করে
আল্লাহর অনেক গুণবাচক নাম এবং আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার অনেক দোয়া দরুদ
রয়েছে যেগুলো আমল করলে আল্লাহ খুশি হয় এবং ওই ব্যক্তির মনের ইচ্ছা পূরণ
করে। আবার এই দোয়াগুলো যদি তাহাজ্জুদ নামাজে পড়া হয় তাহলে দোয়াগুলো আরো
শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
আল্লাহর অনেক গুণবাচক নাম এবং আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার অনেক দোয়া দরুদ
রয়েছে যেগুলো আমল করলে আল্লাহ খুশি হয় এবং ওই ব্যক্তির মনের ইচ্ছা পূরণ
করে। আবার এই দোয়াগুলো যদি তাহাজ্জুদ নামাজে পড়া হয় তাহলে দোয়াগুলো আরো
শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
যারা ইসলাম ধর্মকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে এবং আল্লাহকে ভয় করে তাদের অধিকাংশ
মানুষই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে। অনেকে সাধারণভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আবার
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যে অনেক দোয়া দরুদ পড়ে যাতে আল্লাহ আরো বেশি
রাতে খুশি হয়। যেহেতু এই নামাজটি একটি নফল এবং সুন্নত নামাজ তাই এই নামাজ
পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
মানুষই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে। অনেকে সাধারণভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আবার
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যে অনেক দোয়া দরুদ পড়ে যাতে আল্লাহ আরো বেশি
রাতে খুশি হয়। যেহেতু এই নামাজটি একটি নফল এবং সুন্নত নামাজ তাই এই নামাজ
পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আপনারা যারা সাধারণভাবে তাহাজ্জত নামাজ পড়েন তাদের উচিত এই নামাজের মধ্যে
আরো দোয়া-দরুদ পড়া। যারা জানেন না তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কারণ এই আর্টিকেলে ছোট্ট ছোট্ট এমন দোয়ার নাম উল্লেখ করা হবে যেগুলো আপনি
পড়লে খুব সহজেই আপনার মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারবেন।
আরো দোয়া-দরুদ পড়া। যারা জানেন না তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কারণ এই আর্টিকেলে ছোট্ট ছোট্ট এমন দোয়ার নাম উল্লেখ করা হবে যেগুলো আপনি
পড়লে খুব সহজেই আপনার মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারবেন।
অনেক বেশি আমলের প্রয়োজন নেই, আপনি যতটুকুই আমল
করুন না কেন আপনার এই ইবাদত বা আমলের মধ্যে এখলাস থাকতে হবে। আপনি যদি ইখলাস
এবং পরিশুদ্ধ নিয়াতে অল্প আমলও করেন তাহলেও আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট
থাকবে।
করুন না কেন আপনার এই ইবাদত বা আমলের মধ্যে এখলাস থাকতে হবে। আপনি যদি ইখলাস
এবং পরিশুদ্ধ নিয়াতে অল্প আমলও করেন তাহলেও আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট
থাকবে।
মূল কথা হচ্ছে নিয়াত, যেহেতু নিয়তের ওপরে সবকিছু নির্ভর করে তাই তাহাজ্জুদ
নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রাজি ও খুশি অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিশুদ্ধ
নিয়াতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। আপনি যদি দুনিয়াতে তাহাজ্জুদ নামাজ
নিয়মিত পড়তে পারেন তাহলে আপনি ভাগ্যবান মানুষদের অন্তর্ভুক্ত। আর তাহাজ্জুদ
নামাজ পড়ার আগে অবশ্যই জেনে নেবেন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রাজি ও খুশি অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিশুদ্ধ
নিয়াতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। আপনি যদি দুনিয়াতে তাহাজ্জুদ নামাজ
নিয়মিত পড়তে পারেন তাহলে আপনি ভাগ্যবান মানুষদের অন্তর্ভুক্ত। আর তাহাজ্জুদ
নামাজ পড়ার আগে অবশ্যই জেনে নেবেন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
আপনি খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের ওপর যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে
সেই নামাজগুলো পড়ার জন্য মুয়াজ্জিন সাহেব আযানের মাধ্যমে আহ্বান করে।
কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজের সময় মোয়াজ্জিন আহ্বান করেন না। তার মানে কি
তাহাজ্জুদ নামাজের কোন গুরুত্ব নেই, অনেকে এরকম মনে করতে পারে। যদি কেউ এরকম
মনে করে তাহলে তার ইসলাম সম্পর্কে ধারণা কম আছে।
সেই নামাজগুলো পড়ার জন্য মুয়াজ্জিন সাহেব আযানের মাধ্যমে আহ্বান করে।
কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজের সময় মোয়াজ্জিন আহ্বান করেন না। তার মানে কি
তাহাজ্জুদ নামাজের কোন গুরুত্ব নেই, অনেকে এরকম মনে করতে পারে। যদি কেউ এরকম
মনে করে তাহলে তার ইসলাম সম্পর্কে ধারণা কম আছে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় মোযাজ্জিন আহ্বান করেন না কারণ তাহাজ্জত নামাজের
সময় স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই তাহাজ্জত নামাজের জন্য মানুষদের আহ্বান
করেন। আপনি কি ভাবতে পারতেন যে এই নামাজের ফজিলত কিংবা গুরুত্ব কতটুকু। যদি
আপনি এই তাহাজ্জত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সামান্য ধারণাও পেয়ে থাকেন তাহলে
আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিন, তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এবং এ দোয়াগুলো তাহাজ্জত নামাজে পড়ার চেষ্টা করেন।
সময় স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই তাহাজ্জত নামাজের জন্য মানুষদের আহ্বান
করেন। আপনি কি ভাবতে পারতেন যে এই নামাজের ফজিলত কিংবা গুরুত্ব কতটুকু। যদি
আপনি এই তাহাজ্জত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সামান্য ধারণাও পেয়ে থাকেন তাহলে
আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিন, তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে
মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এবং এ দোয়াগুলো তাহাজ্জত নামাজে পড়ার চেষ্টা করেন।
হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ তাআলা রাতের শেষভাগে অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজের
ওয়াক্তে সপ্তম আসমানে অবতরণ করেন এবং মানুষদের সকল সমস্যা সমাধানের সুবর্ণ
সুযোগ দেন। তাই এই সুযোগ কি কাজে লাগিয়ে তাহাজ্জত নামাজেকরা যায় এমন ফজিলত
পূর্ণ দোয়া গুলো শিখে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করা যাতে আপনি আপনার মনের
আশা পূরণ করতে পারেন।
ওয়াক্তে সপ্তম আসমানে অবতরণ করেন এবং মানুষদের সকল সমস্যা সমাধানের সুবর্ণ
সুযোগ দেন। তাই এই সুযোগ কি কাজে লাগিয়ে তাহাজ্জত নামাজেকরা যায় এমন ফজিলত
পূর্ণ দোয়া গুলো শিখে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করা যাতে আপনি আপনার মনের
আশা পূরণ করতে পারেন।
মানুষ আসলে আল্লাহর কাছে চাইতেই পারে না, আল্লাহর এমন ভান্ডার রয়েছে যে
সমগ্র দুনিয়ার মানুষকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু দিয়ে দেওয়ার পরেও
আল্লাহর ভান্ডারের সামান্য পরিমাণও কমবে না। সেই মহা ভান্ডার এর মালিক
আল্লাহর কাছে আমরা চাইতেই পারে না। মানুষ মানুষের থেকে যে কোন জিনিস চাইলে
দিতেও পারে কিংবা নাও দিতে পারে। আবার একবার দিলে পরেরবার আর দেবে না।
সমগ্র দুনিয়ার মানুষকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু দিয়ে দেওয়ার পরেও
আল্লাহর ভান্ডারের সামান্য পরিমাণও কমবে না। সেই মহা ভান্ডার এর মালিক
আল্লাহর কাছে আমরা চাইতেই পারে না। মানুষ মানুষের থেকে যে কোন জিনিস চাইলে
দিতেও পারে কিংবা নাও দিতে পারে। আবার একবার দিলে পরেরবার আর দেবে না।
কিন্তু আল্লাহ এমন এক সত্তা যার কাছে আপনি যতবার চাইবেন ঠিক ততবারই পাবেন। আর
আল্লাহর কাছ থেকে যেকোনো জিনিস শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো নামাজ। আবার সকল নফল
নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ। তাই তাহাজ্জুদ নামাজকে
কাজে লাগিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য জেনে নিন তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
আল্লাহর কাছ থেকে যেকোনো জিনিস শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো নামাজ। আবার সকল নফল
নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ। তাই তাহাজ্জুদ নামাজকে
কাজে লাগিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য জেনে নিন তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
আপনার পাড়া-প্রতিবেশী, সন্তান ও স্ত্রীরা যখন ঘুমিয়ে থাকে অর্থাৎ রাতের যে
ভাগে সমগ্র পৃথিবী নিস্তব্ধ ঘুমে বিভোর তখন আপনি আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাহাজ্জত নামাজের জন্য ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে যখন
নামাজ আদায় করবেন তখন আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। তাই আল্লাহকে
সন্তুষ্ট করার এই সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করা উচিত নয়।
ভাগে সমগ্র পৃথিবী নিস্তব্ধ ঘুমে বিভোর তখন আপনি আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাহাজ্জত নামাজের জন্য ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে যখন
নামাজ আদায় করবেন তখন আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। তাই আল্লাহকে
সন্তুষ্ট করার এই সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করা উচিত নয়।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
আপনি চাইলে উপরের অংশ থেকে তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজের সেজদার মধ্যে এমন একটি বিশেষ দোয়া
রয়েছে যেটি পড়লে আপনার মনের আশা 100% পূরণ হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক
তাহাজ্জত নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়।
আপনি চাইলে উপরের অংশ থেকে তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজের সেজদার মধ্যে এমন একটি বিশেষ দোয়া
রয়েছে যেটি পড়লে আপনার মনের আশা 100% পূরণ হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক
তাহাজ্জত নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় সেই দোয়াটি
হচ্ছে “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা
আজাবান্নার“। যারা প্রশ্ন করছিলেন তারা এই দোয়াটি ভালোভাবে মুখস্ত করে নিন, কারণ এই
দোয়াটি সেই দোয়া যেই দোয়া করলে মনের আশা পূরণ হয়।
হচ্ছে “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা
আজাবান্নার“। যারা প্রশ্ন করছিলেন তারা এই দোয়াটি ভালোভাবে মুখস্ত করে নিন, কারণ এই
দোয়াটি সেই দোয়া যেই দোয়া করলে মনের আশা পূরণ হয়।
আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক নিয়ম অনুসারে নামাজ পড়বেন। শুধুমাত্র সেজদায়
গিয়ে তিনবার “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা”পড়ার পরে ওই দোয়াটি পড়বেন এবং
সালাম ফিরিয়ে চোখের পানি ফেলে আপনার মাতৃভাষায় আপনার মনের ইচ্ছাগুলো
আল্লাহর কাছে খুলে বলবেন। সেজদায় যে দোয়াটি পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই
দোয়াটি অনেক শক্তিশালী তাই এই দোয়াটি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে পড়ার
চেষ্টা করবেন।
গিয়ে তিনবার “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা”পড়ার পরে ওই দোয়াটি পড়বেন এবং
সালাম ফিরিয়ে চোখের পানি ফেলে আপনার মাতৃভাষায় আপনার মনের ইচ্ছাগুলো
আল্লাহর কাছে খুলে বলবেন। সেজদায় যে দোয়াটি পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই
দোয়াটি অনেক শক্তিশালী তাই এই দোয়াটি প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে পড়ার
চেষ্টা করবেন।
আর সবকিছুর ফলাফল দুনিয়াতে আশা করবেন না। আপনি হয়তো সব ধরনের ইবাদত করে
আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলেন কিন্তু আল্লাহ দিল না। এতে কখনোই মন খারাপ
করবেন না। কারণ আল্লাহ যদি দুনিয়াতে আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ না করে তাহলে
আপনার জন্য হয়তো পরকালে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির স্থান জান্নাতে আপনার জন্য বড়
ধরনের পুরস্কার রেখেছে।
আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলেন কিন্তু আল্লাহ দিল না। এতে কখনোই মন খারাপ
করবেন না। কারণ আল্লাহ যদি দুনিয়াতে আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ না করে তাহলে
আপনার জন্য হয়তো পরকালে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির স্থান জান্নাতে আপনার জন্য বড়
ধরনের পুরস্কার রেখেছে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের
ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং প্রতি
তাহাজ্জুদ নামাজে এই দোয়াটি পড়া। আপনার যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে আল্লাহর
কাছে মন খুলে বলবেন। কারণ তিনি এই সমগ্র মহাবিশ্বের মালিক। তার ইশারা ছাড়া
একটি গাছের পাতাও নড়ে না।
ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং প্রতি
তাহাজ্জুদ নামাজে এই দোয়াটি পড়া। আপনার যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে আল্লাহর
কাছে মন খুলে বলবেন। কারণ তিনি এই সমগ্র মহাবিশ্বের মালিক। তার ইশারা ছাড়া
একটি গাছের পাতাও নড়ে না।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। যারা আরামের ঘুম নষ্ট করে আল্লাহকে রাজি ও
খুশি করার জন্য রাতের শেষভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তাদের জন্য রয়েছে
দুনিয়ার শান্তি এবং পরকালে বিশেষ পুরস্কার জান্নাত। আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের
ফজিলত জেনে অবাক হয়ে যাবেন, কারণ আপনি ভাবতেও পারবেন না এত পরিমাণ ফজিলত
থাকতে পারে এই তাহাজ্জুদ নামাজে।
খুশি করার জন্য রাতের শেষভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তাদের জন্য রয়েছে
দুনিয়ার শান্তি এবং পরকালে বিশেষ পুরস্কার জান্নাত। আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের
ফজিলত জেনে অবাক হয়ে যাবেন, কারণ আপনি ভাবতেও পারবেন না এত পরিমাণ ফজিলত
থাকতে পারে এই তাহাজ্জুদ নামাজে।
তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে হাদিসঃ باب التَّهَجُّدِ بِاللَّيْلِ وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ}
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত নিম্নরূপ
- আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়
- রিজিক বৃদ্ধি করা যায়
- সকল ধরনের পাপ থেকে নাজাত পাওয়া যায়
- পরকালের জান্নাত লাভ করা যায়
- মানসিক শান্তি লাভ করা যায়
অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে দুনিয়া এবং আখিরাতে কামিয়াব হওয়ার সহজ মাধ্যম
হলো তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। তাই আপনিও যদি দুনিয়াতে এবং আখিরাতে সফল
হতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একজন মুসলমান হিসাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া
উচিত। তাহাজ্জুদ নামাজের যেসকল ফজিলত রয়েছে আশা করি সেগুলো বুঝতে পেরেছেন
হলো তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। তাই আপনিও যদি দুনিয়াতে এবং আখিরাতে সফল
হতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একজন মুসলমান হিসাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া
উচিত। তাহাজ্জুদ নামাজের যেসকল ফজিলত রয়েছে আশা করি সেগুলো বুঝতে পেরেছেন
ব্যক্তিগত মতামতঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়
এই আর্টিকেল জুড়ে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে সকল তথ্য বিশেষ করে তাহাজ্জুদ
নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজে কোন দোয়াটি
পড়লে মনের ইচ্ছা হবে। একজন প্রকৃত মুমিন ও মুসলমান হিসাবে আপনার উচিত
প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে এই দোয়াটি পড়া।
নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজে কোন দোয়াটি
পড়লে মনের ইচ্ছা হবে। একজন প্রকৃত মুমিন ও মুসলমান হিসাবে আপনার উচিত
প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজে এই দোয়াটি পড়া।