রবি নাম্বার কিভাবে দেখে, রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব

প্রিয় রবি সিম ব্যবহারকারী, আপনাদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে রবি নাম্বার কিভাবে দেখে এবং অনেকেই জানতে চাই রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব এই সম্পর্কে। তো যারা এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি রবি সিম সম্পর্কে অন্যান্য সকল তথ্য জানতে চান তাদের জন্য হতে পারে এটি একটি শ্রেষ্ঠ আর্টিকেল। রবি নাম্বার কিভাবে দেখে এটিসহ রবি সিম সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
রবি-নাম্বার-কিভাবে-দেখে-রবি-ইমারজেন্সি-ব্যালেন্স-কিভাবে-আনব-robi-number-check-code-রবি-ব্যালেন্স-চেক-robi-balance-check-রবি-ইন্টারনেট-অফার-রবি-মিনিট-অফার-রবি-মিনিট-চেক
বাংলাদেশে যত ধরনের সিম কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তা রয়েছে রবি সিম কোম্পানি। কারণ রবি সিমে এমন অনেক অফার রয়েছে যেগুলো অন্যান্য সিম কোম্পানিরা কখনোই প্রোভাইড করে না। বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য হলেও অনেক মানুষ রবি সিম ক্রয় করে। এছাড়া মিনিট প্যাকেজ এবং অন্যান্য অফার রবি সিমে বেশি অন্যান্য সিমের তুলনায়, আবার এটি দামেও কম। চলুন বাড়তি কথা না বলে জেনে নেওয়া যাক রবি নাম্বার কিভাবে দেখে।

ভূমিকাঃ রবি সিম সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য

রবি সিম বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের (Robi Axiata Limited) দ্বারা পরিচালিত। রবি মোবাইল সেবা, ইন্টারনেট, কাস্টমার কেয়ার, বিভিন্ন অফার ও সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এই সিমটি বেশি ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ (Axiata Group Berhad) এবং ভারতের ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) নামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রার শুরু হয় ১৯৯৭ সালে প্রথমে AKTEL নামে প্রতিষ্ঠিত, পরে ২০১০ সালে রবি নামে পুনঃব্র্যান্ডিং করা হয়। এটি প্রায়ই শুরু থেকেই প্রিপেইড, পোস্টপেইড, ইন্টারনেট, ভয়েস কল, আইওটি সেবা ও অন্যান্য কিছু সেবা শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে আসছে।
রবি প্রধানত দুইটি সিস্টেমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে থাকে অর্থাৎ তাদেরকে পেমেন্টের জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হল প্রিপেইড এবং অন্যটি হলো পোস্টপেইড। প্রিপেইড হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেমে আপনি যদি সেবা গ্রহণ করতে চান যা তাহলে যে কোন সেবা গ্রহণের পূর্বে আপনার ব্যালেন্সে ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স বা টাকা রাখতে হবে।
আর পোস্টপেইড হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেমে আপনি যদি কোন সেবা গ্রহণ করতে চান তাহলে সেবা গ্রহণের পরে আপনার নির্দিষ্ট এমাউন্টটি পরিশোধ করতে হবে। এটি অনেক ভালো একটি মাধ্যম, কারণ অনেক সময় নগদ অর্থ কিংবা ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স থাকে না যার ফলে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া লাগে। সেক্ষেত্রে প্রিপেইডের থেকে পোস্টপেইড অনেক সুবিধা জনক।

রবি নাম্বার কিভাবে দেখে – robi number check code

এই আর্টিকেলের পরবর্তী অংশগুলোর মধ্যে রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব এ সম্পর্কে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে যা অনেক সময় প্রয়োজন হয়, তাই আপনার প্রয়োজন হলে এই তথ্যটিও জেনে নেবেন। যাইহোক, গ্রামীণফোন সিম ব্যতীত যারা অন্যান্য কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন এদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষদেরই মনে থাকে না কিভাবে নাম্বার দেখতে হয়। বিশেষ করে যারা নতুন সিম রেজিস্ট্রেশন করে প্রথম অবস্থায় তাদের মোবাইল নাম্বার মনে থাকে না বা মুখস্ত হয় না। এরকম সমস্যায় আমিও বহুবার পড়েছি কারণ আমি যখন নতুন সিম রেজিস্ট্রেশন করতাম তখন অন্য নতুন নাম্বারটি মুখস্ত করলে কিছু সময় মনে থাকে তার পরে আবার ভুলে যাই।
যার ফলে ডায়াল করে আবার নাম্বারটি দেখে নিতে হয়। তবে নাম্বারটি আপনি যদি চেক করতে চান তাহলে আপনাকে জেনে রাখতে হবে কিভাবে নাম্বার দেখতে হয়। আর আপনি যদি রবি সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে জেনে রাখতে হবে রবি নাম্বার কিভাবে দেখে। তাই আপনারা যাতে এরকম পরিস্থিতিতে আপনাদের নিজেদের নাম্বার নিজেরাই বের করতে পারেন তার একটি কোডও রয়েছে।
প্রত্যেকটি সিম কোম্পানিরই নিজস্ব কিছু কোড রয়েছে যে কোড ডায়াল করলে আপনি আপনার সিমের নাম্বারটি দেখতে পারবেন। আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে আর যদি গুগল প্লে স্টোর কিংবা ক্রোম ব্রাউজার থেকে মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল থাকে তাহলে ওই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি আপনার রবি নাম্বারটি দেখতে পারবেন।
আর যদি অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে সেটআপ দেওয়া না থাকে অর্থাৎ আপনি যদি বাটন মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ডায়াল প্যাডে নাম্বার ডিজিট করে জানতে পারবেন। এছাড়া আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার রবি নাম্বার জানতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি পাঁচটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করব যে উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই চেক করতে পারবেন কিংবা রবি নাম্বার যেভাবে দেখে তা জানতে পারবেন। আপনারা এগুলোকে রবি নাম্বার দেখার উপায় হিসেবেও অবহিত করতে পারেন। যাই হোক, চলুন পর্যায়ক্রমে এগুলো জেনে নেওয়া যাক।

 

রবি নাম্বার কিভাবে দেখে জেনে নিন

 

  • USSD কোড ব্যবহার করে
  • SMS এর মাধ্যমে
  • My Robi apps ব্যবহার করে
  • রবি কাস্টমার কেয়ারে কল করে
  • সিমের প্যাকেট চেক করে
  • অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে কিংবা মোবাইল দোকানদারদের মাধ্যমে

 

USSD কোড ব্যবহার করে

 

আপনি স্মার্টফোন কিংবা বাটন মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই USSD কোড ব্যবহার করে আপনার রবি নাম্বারটি জেনে নিতে পারবেন। এ কাজটি করার জন্য আপনি চলে যাবেন সর্বপ্রথম আপনার ডায়াল প্যাড স্ক্রিনে এর পরে *2# ডায়াল করবেন। আপনি যদি এটি ডায়াল করতে পারেন তাহলে এক মুহূর্তের মধ্যেই পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনাকে আপনার নাম্বার জানিয়ে দেওয়া হবে।
*2# হলো রবি নাম্বার চেক করার নতুন USSD কোড। কয়েক বছর আগে এই কোডটি কাজ করত না কিন্তু বর্তমানে এই কোডের মাধ্যমেও চেক করা যাচ্ছে। আপনারা যারা গ্রামীনফোন কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন তারা হয়তো জানেন যে গ্রামীন সিমের নাম্বার চেক করতে হলে *2# ডায়াল করতে হয়। তো যারা গ্রামীন সিম ব্যবহার করেন তাদের আর অতিরিক্ত ভাবে মনে রাখা লাগবে না রবি নাম্বার কিভাবে দেখে।
আর কয়েক বছর আগে রবি নাম্বার চেক করার USSD কোড *140*2*4# ছিল। তবে এখন যদি আপনি এই কোড দ্বারা রবি নাম্বার চেক করতে চান তাহলে request failed লেখা দেখাবে অর্থাৎ বর্তমানে এই কোডটি আর কাজ করে না। যাই হোক আপনি যদি কোডের মাধ্যমে রবি নাম্বারে দেখতে চান তাহলে উপরে দেখানো কোডটি ব্যবহার করতে পারেন।
SMS এর মাধ্যমে
এসএমএসের মাধ্যমে আপনি যদি এই কাজটি করতে চান তাহলে আপনি সর্বপ্রথম চলে যাবেন আপনার মেসেজ অপশনে। এরপরে “MY NUMBER” লিখে ৮০০০ নম্বরে পাঠিয়ে দিবেন। রবি কর্তৃপক্ষ আপনার পাঠানো মেসেজটি ভেরিফিকেশন করবে তারপরে আপনার নাম্বারটি আপনার মেসেজের ইনবক্সে পাঠিয়ে দিবে।

 

My Robi apps ব্যবহার করে

 

আপনি যদি একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হন অর্থাৎ আপনার যদি এন্ড্রয়েড কিংবা আইফোন থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার রবি নাম্বার জানতে পারবেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে রবি নাম্বার চেক করার সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো মাই রবি অ্যাপস এর মাধ্যমে দেখে নেওয়া। কারণ এটির মাধ্যমে নাম্বার দেখতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে এবং এতে কোন ধরনের কোড কিংবা মেসেজ পাঠানোর প্রয়োজন হয় না।
অনেক সময় অনেকের নাম্বার দেখার কোড কিংবা মেসেজ পাঠানোর নাম্বার মনে থাকে না হলে ফলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে হয়। তাই আপনি যদি এত ঝামেলা না চান এবং সহজ পদ্ধতিতে নাম্বার দেখতে চান সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য। তবে এই পদ্ধতিতে নাম্বার দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে হবে। বাটন মোবাইলের মাধ্যমে আপনি কখনোই এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নাম্বার জানতে পারবেন না।
তো যারা প্রশ্ন করেছিলেন রবি নাম্বার কিভাবে দেখে তাদের বলছি আপনারা এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই স্মার্টফোন রয়েছে তাই আমি ধারণা করছি আপনারও ব্যক্তিগত স্মার্টফোন রয়েছে এবং সেটিতে রবি সিম insert করা রয়েছে। তো যাই হোক আপনি সর্বপ্রথম চলে যাবেন google প্লে স্টোরে এবং সেখান থেকে ফ্রিতে My Robi অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল দিবেন।
ইন্সটল দিয়ে লগইন করতে গেলে প্রথমে আপনার রবি নাম্বারটি চাইবে সেখানে আপনি আপনার নাম্বারটি প্রদান করবেন। ভেরিফিকেশনের জন্য তারা আপনাকে একটি ওটিপি কোড পাঠাবে, ঐ কোডটি আপনি মাই রবি অ্যাপস এর মধ্যে বসিয়ে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করবেন। এটি কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি যদি শুধুমাত্র আপনার মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করেন তাহলে আপনি আপনার রবি নাম্বার, ব্যালেন্স, এমবি, মিনিট এবং এগুলো মেয়াদ দেখতে পারবেন।

 

রবি কাস্টমার কেয়ারে কল করে

 

রবি নাম্বার দেখার ইউএসএসডি কোড, এসএমএস পাঠানোর নাম্বার মনে না থাকে কিংবা মাই রবি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার জন্য স্মার্টফোনও না থাকে তাহলে আপনি আপনার রবি নাম্বার চেক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ারে কল দিতে হবে এবং তাদের সাথে কথা বলে আপনার নাম্বারটি জেনে নিতে হবে।
রবি কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করার উপায় গুলো হচ্ছেঃ
  • 158 নাম্বারে কল করে
  • +880-1819-400400 নাম্বারে কল করে
  • *123# USSD CODE ডায়াল করে

 

সিমের প্যাকেট চেক করে

 

আপনি যদি উপরের তিনটি উপায় সহ চার নাম্বার উপায় অর্থাৎ রবি কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে রবি নাম্বার চেক করার উপায়টি ও অবলম্বন করতে না পারেন কিংবা অবলম্বন করতে না চান সেক্ষেত্রে সর্বশেষ একটি পদ্ধতি রয়েছে যেটির মাধ্যমে আপনি কোন ইউএসএসডি কোড ডায়াল না করে, কারো সাথে যোগাযোগ না করে অর্থাৎ কোন ধরনের ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবহার না করেও জেনে নিতে পারবেন রবি নাম্বার কিভাবে দেখে।
রবিসহ সকল সিম কেনার সময় সেটি একটি প্যাকেটে প্রদান করা হয়। আর ওই প্যাকেটের গায়ে স্টিকার দিয়ে নাম্বারটি লেখা থাকে। ওই নাম্বারটি হচ্ছে আপনার কাঙ্খিত রবি সিমের নাম্বার। আপনি যদি আপনার রবি সিমের প্যাকেট হারিয়ে ফেলেন কিংবা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তাহলে NID কার্ড দিয়ে ওই সিমটি উত্তোলন করেছিলেন সেই এনআইডি কার্ডটি নিকটস্থ রবি কাস্টমার কেয়ারে নিয়ে যাবেন।

 

অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে কিংবা মোবাইল দোকানদারদের মাধ্যমে

 

আপনি যদি উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করতে অকৃতকার্য হন সেক্ষেত্রে অন্যদের সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন। আপনি আপনার আশেপাশের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে অর্থাৎ যারা মোবাইল সম্পর্কে ভালো জানে কিংবা আপনার বাজারের মোবাইলের দোকানদারদের কাছে আপনার মোবাইল সিমসহ নিয়ে গেলে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার রবি নাম্বারটি আপনাকে বের করে দেবে।

রবি ব্যালেন্স চেক – robi balance check

প্রত্যেকটি সিম কোম্পানির আলাদা আলাদা কিছু কোড রয়েছে যা ডায়াল করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত সিমের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। আর আপনি যদি রবি সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে রবি সিমের ব্যালেন্স চেক করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে রবি ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে।
তবে বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই আপনার রবি সিমের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। বর্তমানে যেহেতু স্মার্টফোনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে খুব সহজেই মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রবি ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। আর আপনি যদি বাটন মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কোড ডায়ালের মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারবেন।

 

ইউএসএসডি কোড দিয়ে রবি ব্যালেন্স চেক

 

এই পদ্ধতিতে ব্যালেন্স চেক করতে হলে আপনি প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে চলে যাবেন এরপরে *1# অথবা *222# ডায়াল করবেন। উল্লেখিত দুটি কোডের মধ্যে যেকোনোটি ডায়াল করলে তৎক্ষণাৎ আপনার সামনে আপনার রবি সিমের ব্যালেন্স দেখাবে। যেহেতু এটি অনেক সহজ মাধ্যম চাইলে আপনারা এটি অবলম্বন করতে পারেন।

 

এসএমএস-এর মাধ্যমে

 

আপনি যদি এই পদ্ধতিতে ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে প্রথমে আপনি আপনার মেসেজ অপশনে চলে যাবেন। এরপরে write message অপশনে চাপ দিবেন। এর পরে আপনি মেসেজ অপশনে “BAL” লিখে 8050 নাম্বারে পাঠিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ পরে রবি সিমের কর্তৃপক্ষরা আপনার রবি সিমের ব্যালেন্স চেক করে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে। তবে আপনি যদি এসএমএস এর মাধ্যমে রবি সিমের ব্যালেন্স চেক করতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

 

রবি অ্যাপ ব্যবহার করে

 

রবি ব্যালেন্স চেক করার সবথেকে সহজ এবং দ্রুততম পদ্ধতি হচ্ছে রবি অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগল প্লে স্টোর থেকে ফ্রিতে মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে পারবেন। আর আপনার ফোনে যদি ইতিমধ্যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা থাকে তাহলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে আপনি আপনার রবি সিমের ব্যালেন্স জেনে নিতে পারবেন।
তো যাদের স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা নেই বা ইন্সটল করা নেই তারা গুগল প্লে স্টোর থেকে মাই রবি ডাউনলোড করে নিবেন। ডাউনলোড করা হলে আপনারা সর্বপ্রথম আপনাদের নাম্বার দিয়ে সাইনআপ করে নেবেন। এক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনের জন্য আপনাদের সিমে একটি কোড পাঠানো হবে, এই কোড দিয়ে আপনারা মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনটি ভেরিফাই করে নিবেন।
ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনারা যদি শুধুমাত্র মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করেন তাহলে ওই অ্যাপসের প্রথম ইন্টারফেসেই আপনার ব্যালেন্স, মিনিট, এমবি এবং এগুলোর মেয়াদ দেখতে পারবেন। যেহেতু উপরে তিনটি পদ্ধতিতে রবি ব্যালেন্স চেক করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনি যেকোনটি ব্যবহার করলেই ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব

যে কোন সিমের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সেবাটি সিম কোম্পানির নতুন মুখ উন্মোচন করেছে। যার ফলে গ্রাহকরা পেয়েছে আলাদা রকম একটি সুবিধা সেবা। বাংলাদেশের যতগুলো সেম কোম্পানি রয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সিমেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সিস্টেম আছে। রবি সিম কোম্পানির ভাষায় ইমারজেন্সি ব্যালেন্সকে তারা ঝটপট ব্যালেন্স বলে থাকে।
অনেক সময় এরকম হয় কোন ব্যক্তির সাথে জরুরীভাবে কথা বলতে হবে কিন্তু নগদ টাকা নেই রিচার্জ করার জন্য কিংবা রিচার্জ করার জন্য টাকা আছে কিন্তু রিসার্চ করার মতো জায়গা নেই। তো এরকম পরিস্থিতিতে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সিস্টেম গ্রাহকদের ব্যাপক সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। অসুবিধাটি হচ্ছে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সে যে পরিমাণ টাকা ধার নেওয়া হয় ওই টাকা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায় অর্থাৎ cost বেশি।
তবে আপনি চাইলে বিপদের সময়ে এতটুকু অসুবিধা মনে না করলেও পারবেন। তো এখন আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন হচ্ছে রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব অর্থাৎ আমি যদি রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে? তো যেহেতু আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় রবি নাম্বার কিভাবে দেখে এবং এটি তাই ধৈর্য ধরে পড়ুন আপনার অবশ্যই সকল তথ্য জানতে পারবেন।
তো যা বলছিলাম, আপনি বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিংবা ঝটপট ব্যালেন্স নিতে পারবেন। আপনি যদি এত কিছু না বোঝেন তাহলে আপনার আশেপাশে থাকা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারেন কিংবা কোন মোবাইল দোকানদারের সাহায্য নিতে পারেন।

 

USSD কোড

 

তো ঝটপট কিংবা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আপনি যদি রবি সিমে নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে চেক করতে হবে আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কিংবা ঝটপট ব্যালেন্স নেওয়ার যোগ্য কিনা। অন্যান্য সিমে যে কোন গ্রাহককেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে দেয় কিন্তু রবি সিমে আগের চেক করে নিতে হয় যে আপনি যোগ্য নাকি অযোগ্য।
এটি পরীক্ষা করার জন্য আপনি ডায়ালপ্যাড থেকে ইংরেজিতে *8# অথবা বাংলায় *৮# ডায়াল করবেন। আপনি যদি যোগ্য না হন তাহলে আপনাকে বলা হবে ঝটপট সার্ভিসটি আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়, প্রযোজ্য হওয়া মাত্রই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর আপনি যদি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলা হবে আপনি যোগ্য। আসলে যারা রবি সিমে ঠিকমতো রিচার্জ করে না অর্থাৎ নিয়মিত লেনদেন করে না তাদের জন্য ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বা ঝটপট ব্যালেন্স প্রযোজ্য হয় না।
আর আপনি যদি নিয়মিত রবি সিমে রিচার্জ করে কথা বলেন তাহলে কোন কারণ শর্ত ছাড়াই আপনাকে এমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় হচ্ছে আপনি যদি কম অ্যামাউন্টেড টাকা রিচার্জ করেন তাহলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স হিসাবেও আপনাকে কম টাকা দেওয়া হবে। আর আপনি যদি বেশি এমাউন্টের টাকা রবি সিমে রিচার্জ করেন তাহলে এমার্জেন্সি ব্যালেন্সের ক্ষেত্রেও আপনাকে বেশি টাকা দেওয়া হবে। রবি ওয়েবসাইটে দেওয়ার তথ্য মতে তারা সর্বনিম্ন ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যােলেন্স বা ঝটপট ব্যালেন্স প্রদান করে থাকে প্রিপেইড যোগ্য গ্রাহকদের।
যাই হোক, আপনি যদি রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকেন তাহলে ডায়াল প্যাড থেকে ইংরজিতে *123*007# কিংবা বাংলায় *১২৩*০০৭# ডায়াল করবেন। আপনি যদি বেশি বেশি ব্যালেন্সের রিচার্জ করে থাকেন তাহলে পাবেন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বা ঝটপট ব্যালেন্স হিসেবে পাবেন ১০০ টাকা এবং কম পরিমাণে রিচার্জ করে থাকলে পাবেন ১২ টাকা।

 

রবি অ্যাপ

 

রবি অ্যাপস থেকে আপনি খুব সহজেই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। তো যারা এতক্ষণ যাবৎ জানতে চাচ্ছিলেন রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব তারা এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যেহেতু আপনি আর্টিকেল পড়ার জন্য এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন তাহলে আপনার নিশ্চয়ই একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস হিসেবে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার রয়েছে।
আপনার ফোনে যদি মাই রবি সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে এটি ইন্সটল করে নিবেন। যাই হোক আপনার স্মার্টফোনে যদি মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করা থাকে তাহলে অ্যাপ্লিকেশনটি তে প্রবেশ করলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিন অপশনে ক্লিক করবেন। আপনি যদি ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের জন্য ইলিজিবল হয়ে থাকেন তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি আপনার জন্য নির্ধারিত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনি চাইলে রবি কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করতে পারেন। যেহেতু বিশেষ সময়ে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের মারাত্মক প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আশা করি আপনাদের মনে আর প্রশ্ন নেই রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব বরং অন্যরা যদি রবি সিমে ঝটপট ব্যালেন্স নিতে না পারে তাহলে আপনি সাহায্য করতে পারবেন।

রবি ইন্টারনেট অফার

ইন্টারনেটের সাথে আমাদের জীবনের সম্পৃক্ত তার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিমের এমবি। তবে অনেকেই আবার ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যাই হোক আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রবি সিমে যেসব ইন্টারনেট অফার রয়েছে অন্যান্য কোন সিমের নাই।
আমি দীর্ঘ ১০ বছর যাবত রবি সিম ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য। কারণ রবি সিমে এমন অনেক রবি ইন্টারনেট অফার রয়েছে যা আমি অন্য কোন সিমে পাইনি। আবার অন্যদিকে রবি সিমের ইন্টারনেট স্পিড বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক অঞ্চলেই অনেক ভালো। যখন আমি রবি সিম ব্যবহার শুরু করি তখন 3G ছিল। 3G তেই অনেক ভালো নেট স্পিড ছল, আর এখন তো 4.5 G তাহলে স্পিড আরো বেশি হবে।
আপনি যদি রবি ইন্টারনেট অফার সবগুলো জেনে থাকেন তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজন এবং পছন্দ মত অফারটি নিতে পারবেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে রবি সিমের যতগুলো ইন্টারনেট অফার রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত অফার গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

 

১. ডেইলি প্যাক (১ দিন)

 

  • ৩০ MB (২৪ ঘণ্টা)
  • মূল্য: ৭ টাকা
  • ৫০ MB (২৪ ঘণ্টা)
  • মূল্য: ১২ টাকা
২. সাপ্তাহিক প্যাক (৭ দিন)
  • ১ GB (৭ দিন)
  • মূল্য: ৬৪ টাকা
  • ২ GB (৭ দিন)
  • মূল্য: ১০৯ টাকা

 

৩. মাসিক প্যাক (৩০ দিন)

 

  • ১ GB (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৯৯ টাকা
  • ২ GB (৩০ দিন)
  • মূল্য: ১৯৯ টাকা
  • ৫ GB (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৩৪৯ টাকা

 

৪. নাইট প্যাক (রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা)

 

  • ১ GB (১ দিন)
  • মূল্য: ১৪ টাকা

 

৫. স্পেশাল ডাটা প্যাক

 

  • ৫০০ MB + ৪৫ মিনিট (৩ দিন)
  • মূল্য: ২৯ টাকা
  • ৩ GB (৩ দিন)
  • মূল্য: ৫৩ টাকা

 

৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক/ইমো) প্যাক

 

  • ৫০০ MB ফেসবুক + ইমো (৩ দিন)
  • মূল্য: ১৭ টাকা

 

৭. ইমার্জেন্সি ডাটা লোন

 

  • যদি আপনার ব্যালেন্স না থাকে, তবে আপনি ইমার্জেন্সি ডাটা লোন নিতে পারেন।
  • ডায়াল করুন: *222*007#

 

৯. কম্বো প্যাক (ডাটা + মিনিট)

 

  • ১ GB + ৫০ মিনিট + ১০০ SMS (৭ দিন)
  • মূল্য: ৯৮ টাকা
  • ২ GB + ১০০ মিনিট + ২০০ SMS (৩০ দিন)
  • মূল্য: ১৯৮ টাকা

 

১০. দীর্ঘমেয়াদি প্যাক

 

  • ৫ GB (৬০ দিন)
  • মূল্য: ৪৫৯ টাকা
  • ১০ GB (৯০ দিন)
  • মূল্য: ৮৯৯ টাকা

 

১১. স্টুডেন্ট প্যাক

 

  • এই প্যাকগুলো সাধারণত কম দামে ইন্টারনেট সরবরাহ করে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য।
  • ৫০০ MB (১ দিন) + ১০০ MB (ইমো/ফেসবুক/হোয়াটসঅ্যাপ)
  • মূল্য: ১১ টাকা

 

১২. স্পেশাল অ্যাপ প্যাক (ইউটিউব, ফেসবুক, ইমো ইত্যাদির জন্য)

 

  • ৫০০ MB + ৫০০ MB (ইউটিউব) + ৩০ মিনিট (৭ দিন)
  • মূল্য: ৪৯ টাকা

 

১৩. সোশ্যাল প্যাক

 

  • ১ GB (ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ) (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৪৪ টাকা

 

১৪. বিজনেস প্যাক

 

  • যারা বেশি ডাটা ব্যবহার করেন তাদের জন্য বিজনেস প্যাকের সুবিধা রয়েছে।
  • ১০০ GB (৩০ দিন):
  • মূল্য: ৩,৫৯৯ টাকা

 

১৫. আনলিমিটেড প্যাক

 

  • যারা প্রচুর ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের জন্য রবি আনলিমিটেড ইন্টারনেট অফার প্রদান করে থাকে।
  • ১ দিন আনলিমিটেড ইন্টারনেট:
  • মূল্য: ৩৫ টাকা

 

১৬. রবি ইন্টারনেট বুস্টার প্যাক

 

  • যদি আপনার চলমান প্যাক শেষ হয়ে যায়, তবে আপনি ইন্টারনেট বুস্টার প্যাক কিনতে পারেন।
  • ২৫০ MB (১ দিন)
  • মূল্য: ২০ টাকা

 

১৭. My Robi অ্যাপ স্পেশাল ক্যাশব্যাক

 

  • My Robi অ্যাপে বিভিন্ন সময় বিশেষ অফার ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। অ্যাপ ব্যবহার করে ডাটা প্যাক কিনলে আপনি কিছু টাকা ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।

 

১৮. হট ডিলস

 

রবি বিভিন্ন সময় হট ডিলস অফার দেয় যেখানে প্রচুর পরিমাণে ডাটা কম দামে পাওয়া যায়। এই ধরনের রবি ইন্টারনেট অফার এর জন্য আপনাকে My Robi অ্যাপ বা রবি ওয়েবসাইট চেক করুন। এছাড়া, রবি নিয়মিত বিভিন্ন প্রমোশনাল অফার চালু করে, যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাওয়া যায়। তাই আপনি রবি অ্যাপ বা ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে আপনার সিমের জন্য কাস্টমাইজড অফার দেখতে পারেন।
রবি এমবি চেক
উপরে দেওয়া রবি ইন্টারনেট অফার গুলো থেকে আপনার যদি কোন অফারটি পছন্দ হয়ে থাকে এবং আপনি যদি অপরটি ক্রয় করে থাকেন তাহলে এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন রবি এমবি চেক কিভাবে করে?
রবি সিমের এমবি চেক করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে রবি এমবি চেক করতে পারবেন।
  • ইউএসএসডি কোড এর মাধ্যমে রবি এমবি চেক করতে ডায়াল করুন *৩#
  • মাই রবি অ্যাপস এর মাধ্যমে রবি এমবি চেক করতে নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করুন
  • এছাড়া আপনি চাইলে কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলেও আপনার সিমে থাকা এমবির পরিমাণ জেনে নিতে পারবেন।

রবি মিনিট অফার

রবি সিম কোম্পানি খুব অল্প টাকায় বেশি পরিমাণে মিনিট অফার করে থাকে যেগুলো আপনি রবি মিনিট অফার জানলে বুঝতে পারবেন। আপনারা যারা ফোনে অতিরিক্ত কথা বলেন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যর কাজে বিভিন্ন পার্টনারদের সাথে দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের মাধ্যমে কলে যোগাযোগ করতে হয় তাদের জন্য রবি মিনিট অফার নিয়ে এসেছে ধামাকা সুযোগ।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই অংশে রবি মিনিট অফার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে যে অফার গুলো জানলে আপনি আরো কম টাকায় রবি সিমে মিনিট কিনতে পারবেন। এমনিতেই রবি কোম্পানি থেকে রবির প্রত্যেকটি সিমের মেসেজ ইনবক্সে বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়।

 

১. ডেইলি মিনিট প্যাক (১ দিন)

 

  • ২৫ মিনিট (২৪ ঘণ্টা)
  • মূল্য: ১৪ টাকা
  • ৩০ মিনিট (২৪ ঘণ্টা)
  • মূল্য: ১৮ টাকা

 

২. সাপ্তাহিক মিনিট প্যাক (৭ দিন)

 

  • ৪০ মিনিট (৭ দিন)
  • মূল্য: ২৭ টাকা
  • ৮০ মিনিট (৭ দিন)
  • মূল্য: ৪৩ টাকা

 

৩. মাসিক মিনিট প্যাক (৩০ দিন)

 

  • ১০০ মিনিট (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৭৭ টাকা
  • ২০০ মিনিট (৩০ দিন)
  • মূল্য: ১৪৪ টাকা

 

৪. স্পেশাল মিনিট প্যাক

 

  • ৫০০ মিনিট (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৩৯৯ টাকা
  • ১০০০ মিনিট (৩০ দিন)
  • মূল্য: ৭৯৯ টাকা

 

৫. কম্বো প্যাক (মিনিট + ইন্টারনেট)

 

  • ১ GB ডাটা + ৫০ মিনিট (৭ দিন)
  • মূল্য: ৯৮ টাকা
  • ২ GB ডাটা + ১০০ মিনিট (৩০ দিন)
  • মূল্য: ১৯৮ টাকা
৮. মিনিট এবং এসএমএস প্যাক
  • ৩০ মিনিট + ৩০ SMS (৩ দিন)
  • মূল্য: ২১ টাকা
  • ৬০ মিনিট + ৬০ SMS (৭ দিন)
  • মূল্য: ৪২ টাকা

রবি মিনিট চেক

আপনি যেভাবে রবি সিমের এমবি চেক করেছেন ঠিক একই পদ্ধতিতে অর্থাৎ মোটামুটি একই ক্যাটাগরিতে রবি মিনিট চেক করতে পারবেন। একইভাবে ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে, মাই রবি অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে এবং রবি কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলেও জানতে পারবেন আপনার রবি সিমে কত মিনিট রয়েছে এবং এটির মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত।
ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে রবি মিনিট চেক করতে ইংরেজিতে *222*2# ও বাংলায় *২২২*২# অথবা ইংরেজিতে *222*9# ও বাংলায় *২২২*৯# ডায়াল করুন। আশা করি জানতে পেরেছেন রবি সিমে কিভাবে মিনিট চেক করে এবং মিনিটের মেয়াদ কতদিন এ সম্পর্কে।
আজকের এই আর্টিকেল যেসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে আশা করি সেগুলো দ্বারা আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন। তবে এই তথ্যগুলো ব্যতীত আপনি যদি আরও বিস্তারিত এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে চান তাহলে ভিজিট করতে পারেন রবি সিম কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

ব্যক্তিগত মতামতঃ রবি নাম্বার কিভাবে দেখে

আমাদের আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে রবি সিম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল রবি নাম্বার কিভাবে দেখে এবং রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে আনব করি আপনারা এই দুটি বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।
আর্টিকেলটি থেকে আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে যারা এরকম সমস্যায় ভুগছে আপনি তাদের অবশ্যই সাহায্য করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সিম সম্পর্কিত নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। তাই আপনি যদি আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত নিত্য নতুন আর্টিকেল গুলো সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের পাশেই থাকুন, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + twenty =