নাম, মোবাইল ও রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই নাম
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি জানতে আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-মোবাইল-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-সফটওয়্যার-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-স্মার্ট-কার্ড-ডাউনলোড-মোটরসাইকেল-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-করতে-কত-টাকা-লাগে-অনলাইনে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-লার্নার-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-পেশাদার-মোটর-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-হারিয়ে-গেলে-করণীয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ হলো নাম
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা। এই সম্পর্কে জানতে প্রতিটি লাইন
মনোযোগ দিয়ে গুরুত্ব সহকারে পড়বেন। চলুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে
আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

বর্তমান সময়ে উন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ যুক্ত হতে যাচ্ছে। যেহেতু এই
ডিজিটাল সময়ে সবকিছু আপডেট নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের
বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম ইতিমধ্যে অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে। তাই যুগের সাথে
আপনি যদি নিজেকে আপডেট রাখতে পারেন তাহলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।
আর আপনি যদি নিজেকে আপডেট না করে অনলাইন পদ্ধতি ব্যবহার না করেন তাহলে বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন ধরনের ধোঁকা খেয়ে যেতে পারেন। তাই সবসময় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে
চলার চেষ্টা করবেন। যাই হোক, বর্তমানে আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে
আপনি আপনার পছন্দের যানবাহন নিয়ে সমগ্র দেশ বা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ খুবই সচেতন, যার ফলে বিশেষ করে
বাইকারদের যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে তাদের জরিমানা করা হয়। অনেক বাইক
চালক জরিমানা দেন শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণ। আপনার যদি গাড়ির
কাগজ এবং হেলমেট থাকে কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই
জরিমানা হবে।
কয়েকদিন আগে আমার বন্ধুর জরিমানা হয়েছিল। হেলমেট ছিল আর গাড়ির লাইসেন্স এর
কাগজ ছিল কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। আপনি যদি একটি জিনিস চিন্তা করেন আমার বন্ধু যে, ৫ হাজার টাকা জরিমানা
প্রদান করেছিল তার ওই পরিমাণ টাকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যেত।
জরিমানা করার পরে তাকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়। পরে সে কারো অতিরিক্ত ৫
হাজার টাকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তাহলে দেখেন,
চালানের ৫ হাজার টাকা তাকে অতিরিক্ত প্রদান করতে হয়েছিল। তাই আপনিও যদি এরকম লস
এর সম্মুখীন হতে না চান তাহলে আজই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করুন।
এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষার জন্য যেতে
হয়। সেখানে ৩ ধরনের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
যোগ্য বলে প্রমাণ হবে। আর আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন
তাহলে আপনার টাকার পরিমান হয়তো বেশি লাগবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন পরীক্ষা দিতে
হবে না, শুধুমাত্র উপস্থিত থাকলেই হবে।
যাই হোক, যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স
এর কাগজ এখনো হাতে পাননি তারা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। অনেকে আবার নাম দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি জানতে চায়। এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নত
হলেও এতটা উন্নত হয়নি যে, আপনি শুধুমাত্র আপনার নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করবেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি রয়েছে কিন্তু নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক পদ্ধতিটি এখনো কার্যকর নয়। যদিও
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)
এখনো এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশগুলোর মত যেহেতু বাংলাদেশেও ধীরে
ধীরে অনলাইনে উপরে নির্ভর হয়ে যাচ্ছে সে তো আশা করা যায় বাংলাদেশেও একসময়
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যাবে।
তবে আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে
ইন্ডিয়া বা ভারতের
নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটু সহজেই নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন। কারণ ইন্ডিয়াতে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই নাম
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি
সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে ফেলেন আর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
জেরক্স কপি কপিও যদি আপনার কাছে না থাকে বা আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন
করে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্ড এখনো হাতে না পান তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন
থেকে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। চেক করে ডাউনলোড করে সেটি
ব্যবহার করতে পারবেন।
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনি প্রথমে যেকোন একটি ব্রাউজারে
গিয়ে
Parivahan Sewa লিখে
সার্চ দিবেন। তাহলে আপনার সামনে ভারত সরকারের MINISTRY OF ROAD TRANSPORT &
HIGHWAYS এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি আসবে। এর পরে আপনি Drivers/Learners License
অপশনে ক্লিক করবে। তারপর আপনি যেই রাজ্যের বাসিন্দা ওই রাজ্যটি সিলেক্ট করে
নিবেন। এরপরে আপনার সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস আসবে। ওখান থেকে others অপশনে
ক্লিক করে DL Search অপশনে ক্লিক করবেন।
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-ছবি-১
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-২

নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৩

নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৪
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৫
এরপরে অনেকগুলো খালিঘর পূরণ করার অপশন আসবে। এগুলো দেখে ঘাবড়াবেন না কারণ
এখানে শুধুমাত্র দুইটি খালিফার পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার নাম দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে License Holder Name এর খালি
ঘরে আপনি আপনার নামটি বড় হাতের অক্ষরে লিখবেন এবং Date of Birth অপশনে আপনার
জন্ম তারিখ প্রদান করবেন। এই দুইটি সঠিকভাবে প্রদান করার পরে সার্চ অপশনে ক্লিক
করবেন।
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৬
নাম-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৭
আপনি যদি আপনার নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রদান করেন তাহলে আপনার
নাম, আপনার বাবার নাম, আপনার জন্ম তারিখ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বার show
হবে। তো দেখেছেন বন্ধুরা, নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক পদ্ধতিটি কত সোজা।
আপনি যদি ড্রাইভি লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড হাতে না পান আর পুলিশ যদি আপনাকে
ধরে ফেলে সেক্ষেত্রে এই নাম্বার পুলিশকে দেখালে আপনাকে আর জরিমানা করতে পারবে
না।
যেহেতু বাংলাদেশে BRT এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নাম দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি সেক্ষেত্রে আপনি যদি ড্রাইভিং
লাইসেন্সের আবেদন করার স্লিপটি সাথে রাখতে পারেন তাহলেও পুলিশ আপনাকে আর
জরিমানা করতে পারবে না। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন কত সহজেই আপনি আপনার নাম
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। লার্নার নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করার সফটওয়্যার

বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর মত ধীরে ধীরে অনলাইনে উপরে
নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে তাই বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে ব্যবহার রয়েছে।
অনলাইন সিস্টেম মানুষকে অনেক হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারে। আগে অফিসিয়াল কোন
কাজ করার জন্য সেই নির্দিষ্ট স্থানের অফিসে সশরীরে প্রদান হয়ে কাজটি সম্পন্ন
করতে হত কিন্তু অনলাইনের সুবিধার কারণে ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অফিসের
কাজ করা যাচ্ছে।
তাহলে বুঝতে পারছেন প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে এসেছে।
১০০ বছর আগে অনলাইন সিস্টেম সম্পর্কে মানুষের কোন ধারণাই ছিল না। কিন্তু
শুধুমাত্র ১০০ বছরের ব্যবধানে পৃথিবী পরিণত হয়েছে অতুলনীয় সম্ভাবনার
পর্যায়ে। তবে এদিক বাংলাদেশও পিছিয়ে নেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও অনেকে
গুগলে চাকরি পাচ্ছে যার একমাত্র কারণ বাংলাদেশে অনলাইন এর ব্যাপক প্রচার ও
প্রসার।
তাই আপনিও যদি বাংলাদেশের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে দাবি করেন তাহলে আপনাকে
অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে খুব সহজেই শুধুমাত্র রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যাচ্ছে। তাই
আপনার কাছে যদি রেফারেন্স নাম্বার থাকে তাহলে অনলাইনের
মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার বের করতে পারবেন এবং
নাম্বারটি প্রিন্ট করে পুলিশকে দেখাতে পারবেন। এই নাম্বারটি পুলিশকে দেখালে
পুলিশ আপনাকে আর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য জরিমানা করতে পারবে না।
যখন বাংলাদেশে অনলাইনের ব্যাবহার ছিল না তখন যেকোন স্থান বা অফিসের কাজ করার
জন্য ওই স্থানে বা অফিসে যেতে হতো। উদাহরণ হিসেবে ধরুন আপনি রাজশাহী জেলার
মানুষ। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে রাজশাহীর
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অফিসে যেতে হত।
কিন্তু অনলাইনের সুবিধার কারণে বর্তমানে এই কাজটি আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা
স্মার্টফোন দিয়েই করতে পারবেন। চলুন বাড়তি কথা না বলে আমাদের আর্টিকেলের এই
অংশের মূল আলোচ্য বিষয় রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করে সকল কার্যক্রম শেষ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট
দিয়েছেন কিন্তু এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড হাতে পান নি তারা খুব
সহজেই রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে
পারবেন। রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ অনুসারে যেকোন পদ্ধতি অনুসরণ
করে খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।

লার্নার নাম্বার বা রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার
তিনটি পদ্ধতি হলোঃ

  • BRTA এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
  • BRTA DL Checker ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার
  • 26969 নাম্বারে মোবাইল দিয়ে SMS বা মেসেজ পাঠিয়ে।

BRTA এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লার্নার নাম্বার বা রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

আগে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যেত কিন্তু
বর্তমানে BRTA এর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে অনেক সময় লাগে।
অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম অনেক বেশি। যার ফলে
অনেকেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক না করে BRTA DL Checker
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে  রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে। তাই আপনিও চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তবে
অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে কি BRTA DL Checker
সফটওয়্যার চালানো যাবে? তাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের নিচের অংশে কম্পিউটার বা
ল্যাপটপে এন্ড্রয়েড এর সকল সফটওয়্যার চালানোর ট্রিক শেয়ার করা হয়েছে, আপনার
প্রয়োজন হলে এই গোপন ট্রিক্স জেনে নিতে পারবেন।

BRTA DL Checker অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে লার্নার নাম্বার বা রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

BRTA DL Checker অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে লার্নার নাম্বার বা রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হলে আপনার অবশ্যই দুইটি জিনিস লাগবে।
একটি হলো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং অন্যটি হলো ইন্টারনেট সংযোগ। যেহেতু BRTA DL
Checker অ্যাপ এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা হবে তাই যাদের ল্যাপটপ
কিংবা কম্পিউটার রয়েছে সাধারণভাবে তারা এন্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে
না।
তবে যাদের এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই তারা চাইলে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার দিয়েও
BRTA DL Checker অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে। এর জন্য সর্বপ্রথম
BlueStacks 5 App Player
ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি ডাউনলোড করলে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারকে মোবাইলের
মতো ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মোবাইলে যেরকম অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের অ্যাপস
গুলো সাপোর্ট করে ঠিক তেমনিভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে এন্ড্রয়েড ভার্সনের
অ্যাপসগুলো সাপোর্ট করবে।
আচ্ছা যাই হোক, BRTA DL Checker অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম
গুগল প্লে স্টোররে
চলে যাবেন এবং সার্চ বারে গিয়ে
BRTA DL Checker
লিখে সার্চ দিবেন। সার্চ দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার BRTA
DL Checker অ্যাপসটি show করবে এবং আপনি এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করবেন।
রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-১
রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-২
রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৩
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার পরে ওপেন করবেন। ওপেন করলে
দেখতে পারবেন প্রথম বক্সে Dl No./ BRTA Ref No. অপশন আসবে। এখন আপনাদের মনে
প্রশ্ন হতে পারে Dl No এবং BRTA Ref No মানে কি? যাদের মনে এরকম প্রশ্নের
উত্থান হয়েছে তাদের সুবিধার্থে বলতে চায়, আপনি এই অ্যাপ থেকে শুধুমাত্র রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন
না বরং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পুরাতন ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক রয়েছে কিনা তাও
চেক করতে পারবেন।
রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৪
উদাহরণ হিসেবে ধরুন, আপনি আপনার যানবাহনের ড্রাইভার রাখার জন্য নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন এবং এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অনেক ড্রাইভার চাকরির জন্য
আবেদন করেছে। সবকিছু বাছাই করার পরে শেষ ধাপে আপনার মনে হলো আপনি ওই ড্রাইভার
এর ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক রয়েছে কিনা তা চেক করবেন। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে
BRTA DL Checker অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে Dl No বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বার
দিয়ে চেক করতে পারবেন সেই Dl No বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বার সঠিক কিনা বা
এর সত্যতা রয়েছে কিনা।
অন্যদিকে প্রথম বক্সে Dl No./ BRTA Ref No. অপশনে রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয় আর আপনি যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করবেন তখন আপনাকে
একটি রশিদ প্রদান করা হবে। সেই রশিদে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের রেফারেন্স নাম্বার উল্লেখ থাকবে।
তাই সর্বপ্রথম আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর রেফারেন্স
নাম্বারটি Dl No./ BRTA Ref No লেখা বক্সে বসিয়ে দিবেন। তারপরে Date of Birth
লেখা বক্সে আপনার জন্ম তারিখ, মাস এবং বছর উল্লেখ করবেন। এগুলো সঠিকভাবে প্রদান
করার পরে নিচের Search অপশনে টার্চ করবেন। এক্ষেত্রে একটু সময় নিতে পারে তাই
দুশ্চিন্তা করবেন।
রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-করার-চিত্র-৫
সকল তথ্য আপনি যদি সঠিকভাবে প্রদান করে থাকেন তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
বর্তমান অবস্থা show করবে। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড না
পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্মার্ট কার্ডের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখিত হবে। আর
আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড দিয়ে ওই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
নাম্বার চেক করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখিত হবে।

যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড হাতে পান নি তাদের একেকজনের
একেকরকম তথ্য দেখাতে পারে যা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • আপনার Status যদি PRINT ERROR হয় তাহলে বুঝবেন BRTA DL Checker
    অ্যাপ্লিকেশনের যেসব তথ্য প্রদান করেছেন সেগুলো সঠিক ছিল না।
  • আপনার Status যদি READY FOR PRINT হয় তাহলে বুঝবেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স
    এর কার্যক্রম শেষের দিকে এবং আপনি এটি প্রিন্ট করতে পারবেন।
  • আপনার Status যদি QUALITY CHECK হয় তাহলে বুঝবেন আপনি যেই সার্কেল থেকে
    স্মার্ট কার্ডটি গ্রহণ করবেন ওই অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড
    প্রদান করার জন্য সবকিছু যাচাই করা হচ্ছে।
  • আপনার Status যদি READY FOR DISPATCH হয় তাহলে বুঝবেন আপনি যেই সার্কেল থেকে
    স্মার্ট কার্ডটি গ্রহণ করবেন ওই অফিসে প্রদান করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
    স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত হয়েছে।
  • আপনার Status যদি DISPATCHED-BRTA বা SHIPMENT HAND OVER TO POST-BRTA হয়
    তাহলে বুঝবেন আপনি যেই সার্কেল থেকে স্মার্ট কার্ডটি গ্রহণ করবেন ওই অফিসে
    আপনার স্মার্ট কার্ডটি চলে এসেছে।
  • আপনার Status যদি SHIPMENT RECEIVE IN CIRCLE OFFICE হয় তাহলে বুঝবেন আপনি
    আপনার সার্কেলের অফিস থেকে স্মার্ট কার্ডটি গ্রহণ করেছেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে BRTA DL
Checker অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন। যদি এই পদ্ধতিটি আপনার কাছে সহজ এবং সঠিক
মনে হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

26969 নাম্বারে মোবাইল দিয়ে SMS বা মেসেজ পাঠিয়ে লার্নার নাম্বার বা
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

যদিও বর্তমান সময় আধুনিকতার মুখাপেক্ষী তবুও এই ডিজিটাল সময়ে এসেও অনেকের
কাছে স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোন নেই। যাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন নেই তাদের
অনেক সময় অপমান বা অপদস্থ করা হয়। কিন্তু এগুলো একদমই ঠিক নয়, কারণ অনেকের
পারিবারিক সমস্যা থাকার কারণে বা আর্থিক সমস্যার কারণে কিনতে পারে না। আমাদের
বুঝতে হবে আমাদের সবার পরিবারের আর্থিক অবস্থা এক নয়।
যাইহোক, যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই তারা দুশ্চিন্তা করবেন না, কারণ আজকে এমন
একটি পদ্ধতি আপনাদের শেখানো হবে যা অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই বাটন মোবাইল
দিয়ে SMS বা মেসেজ পাঠিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। চলুন জেনে
নেওয়া যাক এই সম্পর্কে বিস্তারিত।
এটা শুধুমাত্র বাটন মোবাইলেই করা যায় বিষয়টি এরকম নয়, আপনি চাইলে স্মার্টফোন
দিয়েও এই পদ্ধতি অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে SMS
বা মেসেজ পাঠিয়ে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে মোবাইলের SMS অপশনে যাবেন।
Enter message অপশনে গিয়ে DL V (লার্নার নাম্বার বা রেফারেন্স নাম্বার)
লিখবেন। যেমন আমার রেফারেন্স নাম্বার হচ্ছে DM3NP90534 তাই আমি DL V DM3NP90534
লিখব। সেভাবেই আপনিও DL V লেখার পরে আপনার রেফারেন্স নাম্বারটি লিখবেন। এরপর
দেখবেন ওপরের থেকে To লিখা আছে সেখানে 26969 নাম্বারটি লিখে সেন্ড করে দিবেন।
আপনি চাইলে যেকোন অপারেটর যেমনঃ গ্রামীণফোন, স্কিটো, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক,
বাংলালিংক থেকে SMS বা মেসেজ পাঠাতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই। তবে 26969
নাম্বারে মোবাইল দিয়ে SMS বা মেসেজ পাঠিয়ে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করতে আপনার খরচ হবে ২ টাকা ৬৬ পয়সা।
SMS-বা-মেসেজ-পাঠিয়ে-লার্নার-নাম্বার-বা-রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-১
SMS-বা-মেসেজ-পাঠিয়ে-লার্নার-নাম্বার-বা-রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-২
SMS-বা-মেসেজ-পাঠিয়ে-লার্নার-নাম্বার-বা-রেফারেন্স-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-৩
আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার রেফারেন্স নাম্বারটি লিখে 26969
নাম্বারে পাঠিয়ে দেন তাহলে ১ মিনিট পরে 26969 নাম্বার থেকে “Thanks for your
SMS” লেখা একটি মেসেজ আসবে এবং কিছুক্ষণ পরে আরেকটি মেসেজের মাধ্যমে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার, আপনার নাম, আপনার জন্ম তারিখ, আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্স এর ধরন, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কত তারিখে করেছেন এবং এই লাইসেন্সটির
কতদিন পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে এসব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
আশা করি, যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল নাও থাকে তাহলে আপনি আপনার বাটন মোবাইল দিয়েই
মেসেজের মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করতে পারবেন খুব সহজে। আপনি যদি নিজে না পারেন আপনার মাধ্যমে বাটন মোবাইলের
দিয়ে অন্য মানুষের মাধ্যমে এই কাজটি করে নিতে পারবেন।

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। পেশাদার মোটর ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক

আপনারা হয়তো জানেন, আমাদের এই “সবচেয়ে সেরা আইটি” ওয়েবসাইটে সব সময় তথ্য
প্রদান করা হয়। কারণ আমরা চাই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদের কাছে বিশ্বস্ততা
অর্জন করুন। বিশ্বস্ততা এবং সঠিক তথ্য প্রদানে আমরা অঙ্গীকার বদ্ধ। আমরা চাই
না, আমাদের ওয়েবসাইট তথ্য পড়ে আপনারা বিভ্রান্তির শিকার হন।
যেটা বাস্তব সেটা আপনাদের সামনে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে তুলে ধরার চেষ্টা করি।
হয়তো অনেক ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে মোবাইল
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে হয়তো
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি চালু রয়েছে, কিন্তু
বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত এমন কোন অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট তৈরি
হয়নি যার মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়।
আপনারা হয়তো বিভিন্ন
ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেল
কিংবা ওয়েবসাইটের feature image দেখে ভাবছেন থাম্বনেল মোবাইল নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। কিন্তু এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া। যেহেতু, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচলিত রয়েছে যেটা কয়েক বছর আগে ছিল, সেহেতু বলা যায়
ভবিষ্যতে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি এবং মোবাইল নাম্বার
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি বের হবে।
বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে চাইতেন বা
আপনি যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক রয়েছে কিনা তা যদি চেক করতে চাইতেন
তাহলে আপনাকে সশরীরে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অফিসে উপস্থিত হতে হতো। কিন্তু
প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও আপনি ঘরে বসে খুব অল্প
সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারছেন এবং রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারছেন।
যেহেতু, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নত এবং ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে তাই হয়তো
আর বেশিদিন নেই যেই দিনে আপনি ঘরে বসেই আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। একটি তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশ সড়ক
পরিবহন কর্তৃপক্ষ মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি
নিয়ে কাজ করছে।
এই পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হলে আপনি যেভাবে মোবাইলের এসএমএস বা মেসেজের
মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেছেন ঠিক একই
পদ্ধতিতে আপনি আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে খুব সহজেই
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যদি মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতিটি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে পারে তখন যদি আপনার
মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে “DL 024786L00001” লিখে “01912263311” এই
বাংলালিংক নাম্বারে পাঠিয়ে দেন তাহলে সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক
কর্তৃপক্ষ বা BRTA অফিস কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করে দেওয়া হবে।
মোবাইল-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-ও-পেশাদার-মোটর-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-১
তবে বর্তমানে মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের রুট-পারমিট এর মেয়াদ,
গাড়ির ফিটনেস এবং ট্যাক্স-টোকেনের তারিখ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যতা যাচাই
করতে পারবেন। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করতে চান তাহলে DL<একটা
স্পেস> ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার বা রেফারেন্স নাম্বার দিতে হবে আর আপনি
যদি আপনার যানবহনের তথ্য যাচাই করতে চান তাহলে VR< একটা স্পেস> দিয়ে
যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে 01552146222 এই টেলিটক নাম্বারে পাঠিয়ে
দিলে আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আপনার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং
লাইসেন্সের তথ্য কিংবা যানবাহনের সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
মোবাইল-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-ও-পেশাদার-মোটর-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-২


মোবাইল-নাম্বার-দিয়ে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-ও-পেশাদার-মোটর-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-চেক-চিত্র-৩

আশা করি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং পেশাদার
মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি ড্রাইভিং
লাইসেন্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে
পারেন। কারন আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে সকল
তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

অনলাইন সিস্টেম আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে যদি আপনি তা সঠিকভাবে
ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে যদি এনআইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
স্মার্ট কার্ড হাতে না পান তাহলেও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এ ধরনের সকল কার্ড
ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে ড্রাইভিং
লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড পদ্ধতি উল্লেখ করা হবে।
অনেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন এবং ড্রাইভিং
লাইসেন্স স্মার্ট কার্ডের প্রি-পেমেন্ট করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের
প্রশ্ন করেছিলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার উপায় কি? তাদের
সুবিধার্থে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড বা QR CODE সংযুক্ত যে
ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে তা ডাউনলোড করার করার সবচেয়ে সহজ নিয়ম
নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল,
ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন পড়বে। এই উপকরণ গুলো
থাকলে আপনি যেকোন ডিভাইস দিয়ে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যাবেন। এরপরে bsp portal
লিখে সার্চ দিবেন। bsp portal লিখে সার্চ সার্চ দিলে আপনার সামনে BRTA এর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি আসবে।
User Login লেখা
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। প্রবেশ করলে আপনার সামনে বিএসবি পোর্টালে আপনার যে
ড্রাইভিং লাইসেন্সের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটি আসবে। এরপরে আপনি ড্রাইভিং
লাইসেন্স এর অনলাইনে আবেদন করার সময় যে USERNAME এবং PASSWORD দিয়েছিলেন ঠিক
একই USERNAME এবং PASSWORD দিয়ে লগইন করবেন।
ড্রাইভিং-লাইসেন্স-স্মার্ট-কার্ড-ডাউনলোড-করার-করার-চিত্র-১

ড্রাইভিং-লাইসেন্স-স্মার্ট-কার্ড-ডাউনলোড-করার-করার-চিত্র-২
আর আপনি যদি USERNAME এবং PASSWORD ভুলে যান তাহলে Forgot Password অপশনে ক্লিক
করে নতুন করে USERNAME এবং PASSWORD সেট করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিক তথ্য
প্রদান করে থাকেন তাহলে আপনার সামনে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন হবে। এর পরে আপনি
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন অপশনে ক্লিক করবেন।
এখানে আপনার সার্ভিস আইডি নাম্বার, আবেদনকারীর নাম, আবেদনের তারিখ, আবেদনের
ধরন, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ধরন, পরীক্ষার স্থান, পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষার
সময়, এনআইডি বা পাসপোর্ট নাম্বার, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা,
আবেদনপত্রের ধাপ ইত্যাদি সকল তথ্য show করবে।
আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লার্নার পরীক্ষায় কৃতকার্য হন তাহলে দেখবেন
বিস্তারিত অপশনে প্রিন্ট লার্নার এর নিচে কৃতকার্য লেখা রয়েছে। আর যদি আপনি
পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে না পারেন তাহলে সেখানে অকৃতকার্য লেখা থাকবে। আপনি যদি
কৃতকার্য হন তাহলেই শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে
পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লার্নার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন
তাহলে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না।
পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স লেখা অপশনে ক্লিক করলে আপনার থেকে
অনুমতি চাইবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখানে
মূলত তিনটি পেজ ডাউনলোড হবে। প্রথম পেজে আপনার সম্পর্কে, দ্বিতীয় পেজে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে এবং তৃতীয় পেজে আপনার কাঙ্ক্ষিত
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড থাকবে। এই কার্ডে আপনার নাম, আপনার জন্ম
তারিখ, রেফারেন্স নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।
আপনি এই পৃষ্ঠা তিনটি স্ক্যান করে যতদিন না পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
স্মার্ট কার্ড না পাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ড্রাইভিং
লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি সম্পর্কে আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে যায়। অনেক সময় পকেট থেকে
পড়ে যায় কিংবা এমন স্থানে রেখেছেন যেটা আর মনে পড়ছে না। এরকম অনেকের সাথেই
হয়। সমস্যা যেহেতু রয়েছে তার সমাধান অবশ্যই আছে। আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স
হারিয়ে যায় তাহলে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে আপনি খুব সহজেই আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আরেকটি কপি পেয়ে যাবেন।

সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন

প্রথমে, যে থানার এলাকায় আপনার লাইসেন্স হারিয়েছে বা চুরি হয়েছে সেখানে একটি
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডিতে লাইসেন্সের নম্বর, ধরণ এবং থানার নাম
উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিন

আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে ট্রাফিক
ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনি আপনার নিকটতম ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনে যাবেন।
আপনার নামে যদি কোন মামলা না থাকে তাহলে সেখানে গেলেই আপনাকে ট্রাফিক
ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিবে।

ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন

আপনি BRTA-এর ওয়েবসাইট
https://brta.gov.bd/ মাধ্যমে অনলাইনেও
ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিংবা আপনি যে BRTA অফিস থেকে
আপনার আসল লাইসেন্স পেয়েছিলেন সেখানে জিডি এবং ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট সহ গিয়ে ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।
ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য আবেদনের নির্ধারিত ফরম পূরণ
করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের যেমনঃ জিডির নকল, ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট আকারের ছবি (২ কপি), আসল লাইসেন্সের ফটোকপি (যদি থাকে)
প্রয়োজন হবে।
আপনার দেওয়া সকল তথ্য সঠিক হলে মাত্র ৮৭৫ টাকা দিয়ে কোন দালাল ছাড়াই BRTA
অফিস থেকে আপনার ডুপ্লিকেট লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই এই ডিজিটাল যুগে
নিজেকে আপডেট করে ইন্টারনেটের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং তথ্যে দেখানো
পদ্ধতি অনুসারে কাজ করে দালালদের প্রাধান্য না দিয়ে নিজের কাজ নিজেই করুন।
নিজের কাজ নিজে করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কোন কাজের জন্য কাউকে অনুরোধ
করতে হয় না। আবার আপনার না পারা কাজ যদি অন্য কাউকে দিয়ে করে নেন তাহলে
পরবর্তীতে আপনাকে আবার ওই মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনি যদি যে
কোন কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে আপনি যেকোন সময় যতবার ইচ্ছা ততবার
কাজটি করতে পারবেন।
আর নিজের কাজ নিজে করলে আপনি কোন প্রতারণার শিকার হবেন না। বর্তমান যুগে বিশেষ
করে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য অনেক মানুষ প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে
নিচ্ছে। তাই প্রতারকদের সাহায্য না করে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজেই করতে
শিখুন। ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সম্পর্কে সকল তথ্য বিশেষ করে নাম দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছে।
এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন। আর আর্টিকেলে যদি কোন ভুল তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে
তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এই ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করে সাথেই
থাকুন, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 15 =