তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে ওয়েবসাইটে বা
ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই
আপনি যদি ভিজিটর বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইটে বা ব্লগে
ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানতে হবে।
করে আমার প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর এনেছে সেই তথ্যগুলোই আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার
করব। তাই ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে
অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। চলুন জেনে
নেওয়া যাক ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশে পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন
Toggleভূমিকাঃ ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
বাড়ানোর উপায় জেনে নির্দিষ্ট
নিশ
নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি আপনি এক্সাক্ট নিশের ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে ভিজিটর
আনা আপনার জন্য সহজ হবে। আর আপনি যদি রেনডম নিশের ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনি
নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকেদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন না।
এবং অথরাইজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। আর যত পরিচিত লাভ করবে তত বেশি ভিজিটর আসবে।
যেকোন ওয়েবসাইটের ইনকাম নির্ভর করে ওই ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে কত ভিজিটর আসছে তার
ওপর। তাই বুঝতে পারছেন ইনকাম বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই ভিজিটর বৃদ্ধি করতে হবে।
ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
অধিকাংশই জানে যে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় কি? তাই, আজকের আর্টিকেলে আমি
আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় গুলো যেগুলো
অনুসরণ করলে আপনি প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়াতে
পারেন।
SEO এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর আনার উপায়
- কিওয়ার্ড রিসার্চ
- On page seo
- Off page seo
- ব্যাক লিংক
- ডোমেইন অথরিটি
- ডোমেইন রেটিং
করবেন SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে অর্গানিকভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার।
অর্থাৎ ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় প্রথমটি হচ্ছে
SEO। যারা এই
সেক্টরে নতুন তারা অনেকেই জানে না SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এটি কিভাবে
করে। চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক SEO কি?
করেন তাহলে অর্গানিকভাবে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে
পারবেন। এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বেশ কয়েকটি পার্ট রয়েছে বা সেক্টর
রয়েছেন তাই আপনাকে প্রথমে এই প্রত্যেকটি সেক্টর সম্পর্কে জানতে হবে।
On page seo
এবং অন্যটি হচ্ছে
Off page seo, তবে ওয়েবসাইট rank করানোর জন্য এই দুই ধরনের SEO এর সমান গুরুত্ব রয়েছে।
আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয়ে থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের Off page seo অনেক
দুর্বল থাকে তবে আপনি যদি On page seo সম্পূর্ণভাবে করতে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে
Off page seo স্কোর বৃদ্ধি পেতে থাকে।
হচ্ছে কীওয়ার্ড রিসার্চ করা কারণ কিওয়ার্ড এর উপরে ভিত্তি করে আপনার ওয়েবসাইটে
ট্রাফিক বা ভিজিটর আসবে। আপনি অন্যান্য কাজ যতই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে করেন না কেন
আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ যদি ভালো না হয় তাহলে কখনোই বেশি ভিজিটর নিয়ে আসতে
পারবেন না। ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জনাতে হলে আপনাকে
কিওয়ার্ড রিসার্চ
করা জানতে হবে।
করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করলে খুব দ্রুত সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম পেজে ওয়েবসাইরকে
র্যাঙ্ক করানো যায় যার ফলে প্রচুর পরিমাণ অর্গানিকভাবে ভিজিটর বা ট্রাফিক
পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিওয়ার্ড রিসার্চের টেকনিকগুলো সম্পর্কে।
তাহলে ওই কিওয়ার্ড দিয়ে কতগুলো ওয়েবসাইট আর্টিকেল কিংবা ভিডিও প্রকাশ করেছে তা
আপনি জানতে পারবেন। allintitle দিয়ে সার্চ করার পরে সার্চ রেজাল্টে যদি ১০ এর কম
ফলাফল আসে তাহলে বুঝবেন ওই কিওয়ার্ডটি খুব দ্রুত রেংক করানো যাবে।
KGR বা keyword golden ratio
বলা হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চের বিভিন্ন টুলস ব্যতীত আপনি সাধারণভাবে কিওয়ার্ড
রিসার্চ এর ক্ষেত্রে এই টেকনিকটি অবলম্বন করতে পারেন। যারা বড় বড় এসইও
এক্সপার্ট রয়েছে তারা এই টেকনিকটি অবলম্বন করে ওয়েবসাইটে অর্গানিকভাবে লক্ষ
লক্ষ ভিজিটর নিয়ে আসে।
বেশি ভলিউমের KGR কিওয়ার্ডগুলো বাছাই করতে পারবেন খুব সহজে। এসব টুলস গুলোর
মধ্যে রয়েছে ubersuggest,
ahrefs, moz,
keyword planner,
small seo tools ইত্যাদি। এই টুলস গুলো
ব্যবহার করে কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি, সার্চ ডিফিকাল্টি এবং volume জানতে
পারবেন। ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানতে হলে এই টুলসগুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ এর পাশাপাশি seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে যাকে অন্য কথায়
On page seo বলা হয়। On page seo এর মধ্যে রয়েছে keyword density, internal
link, external link, article length ইত্যাদি। এই সবগুলো কাজই আপনাকে
পরিপূর্ণভাবে করতে হবে।
আর্টিকেলকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য। কারণ কিওয়ার্ড বারবার ব্যবহার করলে গুগল ওই
তথ্যকে বিশ্বস্ত এবং সহজলভ্য মনে করে আর আর্টিকেল বড় করে লিখলে গুগল মনে করে এই
আর্টিকেল এর মধ্যে কাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এজন্য
দ্রুত র্যাঙ্কে আনে।
ইনডেক্স আছে কিনা। যদি ইনডেক্স না থাকে তাহলে ওই আর্টিকেলের url কপি করে
google search console
এ গিয়ে url inspection করবেন এবং index request দিবেন। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ভিজিটর
বৃদ্ধি করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ওয়েবসাইটের নজরদারি করতে হবে। আপনি যতই
ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় গুলো অনুসরণ করেন না কেন আপনার আর্টিকেল বা post যদি
index না থাকে তাহলে ভিজিটর আনতে পারবেন না।
google analytics
এর মাধ্যমে দেখতে হবে আপনার কোন আর্টিকেলে ভিজিটর বেশি আসছে এবং কতক্ষণ যাবৎ
আর্টিকেলটি পড়ছে। যদি আর্টিকেলের bounce rate বেশি হয় তাহলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে
আরো বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। অর্থাৎ মূল কথা হচ্ছে আর্টিকেল সংশ্লিষ্ট সকল
বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে যাতে পাঠক আর্টিকেলটি পড়ে সন্তুষ্ট হয় এবং যে
তথ্যগুলো খুজছিল সেগুলোচ খুঁজে পায়।
আর্টিকেলগুলোর লিংক যুক্ত করতে হবে। এবং আপনার আর্টিকেলে যেসব শব্দ বা ওয়ার্ড
ব্যবহার করা হয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলোর সাথে
external link করতে হবে। এই কাজগুলো করলে আপনার seo স্কোর কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে।
যদি আপনার ওয়েবসাইটে On page seo করে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকেন
তাহলে ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটের Off page seo স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে
থাকে। এজন্য সর্বপ্রথম On page seo এর দিকে প্রধান ফোকাস করবেন।
প্রকাশিত আর্টিকেলগুলো rank করবে। আর সার্চ রেজাল্টে আপনার যতগুলো আর্টিকেল rank
করবে সেই সাথে সাথে ডোমেইন অথরিটি এবং ডোমেইন রেটিং বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এছাড়া
আপনার ওয়েবসাইটের
domain age
যত বৃদ্ধি পাবে আপনার ওয়েবসাইটটি তত দ্রুত rank করবে এবং আপনি অর্গানিকভাবে ততো
বেশি ভিজিটর আনতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পারেছেন Seo করে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর
উপায় সম্পর্কে।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর
উপায়
হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ বর্তমানে এমন কিছু সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম রয়েছে
যেখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিজিট করে এবং বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে
বিবেচনা করে। তাই সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে
পারবেন।
- ফেসবুক
- ইউটিউব
- Quora
- টেলিগ্রাম
- medium.com
- টুইটারPinterest
- LinkedIn.com
- Truml
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্টিকেলগুলোর লিংক ফেসবুক পেজে কিংবা ফেসবুক একাউন্টের
সাথে সংযোগ করে দিলে সেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিজিটার পাবেন। এসব
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর আনার সবথেকে বড় সুবিধা হল এখানে কোন প্রকার seo
করা লাগে না।
লক্ষ লক্ষ ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এই কাজটি করতে হলে আপনার
অবশ্যই একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ লাগবে। তাই ফেসবুক থেকে ওয়েবসাইটে ভিজিটর
নিয়ে আসতে হলে পেজের ফলোয়ার বৃদ্ধি করুন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলোর
মাধ্যমে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় হিসাবে অনেক ভালো কাজ করে।
পারবেন। আপনার যদি একটি জনপ্রিয় বা বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এরকম একটি
ফেসবুক চ্যানেল থাকে তাহলে ফেসবুক চ্যানেল এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার
করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিজিটর আনতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটে যে আর্টিকেলগুলো পাবলিস্ট করেন সেগুলোই
Quora এসে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হিসেবে
কমেন্ট করবেন। আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুগুলো এই কমেন্টের মধ্যে
রাখবেন না, শুধুমাত্র এটুকু বোঝাবেন যে এই প্রশ্নের উত্তর আপনার
আর্টিকেলের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ পাঠককে আকর্ষণ দিয়ে আপনার আর্টিকেলের
লিংক দিয়ে দিবেন। ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর এই উপায়টি অবলম্বন করলে আপনি
ফ্রিতে খুব সহজেই প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক বা ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন। এজন্য সর্বপ্রথম আপনি
টেলিগ্রাম
অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ইনকাম করার বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হবেন।
যেগুলোতে মেম্বার বেশি ওই ধরনের গ্রুপগুলোতে যুক্ত চেষ্টা করবেন।
ক্রিয়েট করতে হবে। এ ধরণের গ্রুপে ইনকাম রিলেটেড আর্টিকেলগুলো সব থেকে বেশি
ভিজিটর পায়। তাই আপনি যদি এ ধরনের গ্রুপগুলো থেকে সর্বোচ্চ visitor পেতে চান
তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আর্টিকেল লিখতে
হবে। টেলিগ্রামের মাধ্যমে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় অনেক সহজ।
নিয়ে আসতে পারবেন যার জন্য আপনাকে আর্টিকেলে কোন ধরনের seo করতে হবে না। গুগল
এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পরে ওয়েবসাইটে ভিজিটর এসে আপনার google ads এ যত
বেশি ক্লিক পড়বে আপনার ইনকামও তত বেশি হবে।
medium.com সার্চ করতে পারেন। আপনি এখানে সাইন
আপ করে ওয়েবসাইটের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং লিঙ্ক আপ করার পর একটি
প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। প্রোফাইল আপনি পোস্ট করতে পারেন এবং সেই পোস্টের
মাধ্যমে আপনি একটি ভাল ভিজিটর পাবেন।
ট্রাফিক পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের নামে একটি
টুইটার
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং অ্যাকাউন্টটি সুন্দরভাবে আপনার ওয়েবসাইটের বিবরণ
সহ একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। ওই প্রোফাইলে ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য একটি
লিঙ্ক যুক্ত করে দিবেন।
শুনেছেন। আপনি এই Pinterest এর মাধ্যমে খুব সহজে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে
পারবেন। এটি থেকে traffic নিয়ে আসতে হলে প্রথম আপনি গুগলে গিয়ে Pinterest.com
টাইপ করবেন। সেখানে ইন্টারফেস পাবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে একটি
প্রোফাইল তৈরি করবেন। তারপর একটি সুন্দর কভার ফটো এবং লোগো দিয়ে আপনার
ট্যাগলাইনে ওয়েবসাইটে লিংক যুক্ত করবেন।
আনতে পারবেন। এটি মূলত বিভিন্ন ধরনের চাকরির অফার করে থাকে তাই আপনার
ওয়েবসাইটে যদি চাকরির সংক্রান্ত আর্টিকেল থাকে তাহলে LinkedIn.com এ আপনি
প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। এখানে প্রোফাইল তৈরি করলে আপনার প্রোফাইল ব্যাক লিংক
হিসেবেও কাজ করবে।
ওয়েবসাইটের নামে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই একটি লোগো এবং
একটি কভার ফটো দিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কটি ব্যবহার করে আপনার
চাকরির বাজারের সাইটে ভালো সংখ্যক ভিজিটর পেতে পারবেন।
যেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যায়। এই ওয়েবসাইটে আপনার প্রোফাইল থাকলে মন্দ
হয় না। সেখান থেকে আপনি ভালো ভিজিটর পাবেন, ব্যাকলিংক পাবেন এবং আপনার
ওয়েবসাইট এর
domain authority
বাড়বে। আপনি Google এ Tumblr টাইপ করে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি প্রোফাইল
তৈরি করুন, একটি লোগো সেট করুন এবং একটি ব্যাকলিঙ্ক যোগ করুন আশা করি
বুঝতে পেরেছেন সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে
ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
OnSignal এর পুশ নোটিফিকেশন ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর
উপায়
ওয়েবসাইটে যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ফলোয়ার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি
ভিজিটরও বৃদ্ধি করতে পারবেন। কারণ যে জিমেইল একাউন্ট থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে
ফলো করা হবে সেই ওয়েবসাইটে যেকোনো নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করলে ওই জিমেইল
একাউন্টে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আর্টিকেলটি চলে যাবে।
google news থেকে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
google news এর approval নিতে হবে।
তারপর google news এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আপনার আর্টিকেলগুলো সাবমিট করতে হবে।
যদিও এই টেকনিকে ভিজিটরের সংখ্যা বর্তমানে তুলনামূলক কম তারপরেও আপনি যদি এই
মাধ্যমে অবলম্বন করেন তাহলে পূর্বের তুলনায় তুলনামূলক বেশি ভিজিটর পাবেন।
google discover এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর
উপায়
সার্চ না দিলেও বিভিন্ন জিনিস সামনে চলে আসে ঠিক তেমনিভাবে
google discover
এ বিভিন্ন আর্টিকেলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার সামনে দেখাবে। আপনার আর্টিকেল
seo friendly হয় এবং আপনি যদি বিভিন্ন Trending বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল
লেখেন তাহলে সেগুলো google discover এ show করবে যার ফলে আপনি প্রচুর পরিমাণ
ট্রাফিক পাবেন।
google web stories এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর
উপায়
বলতে নির্দিষ্ট সেকশনে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ধরনের ছবি বা পিকচার প্রকাশ করাকে
বোঝানো হয়। ফেসবুকে যেমন story দেওয়া যায় এবং অন্যান্য মানুষ দেখতে পায় ঠিক
তেমনি ভাবে google web stories এ আপনি যদি প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ডিং
বিষয়গুলো নিয়ে ছবি প্রকাশ করেন তাহলে এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর আপনার
ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন।
Paid Ads এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
উপায় হিসাবে এই মাধ্যমটি ব্যয়বহুল। এই পদ্ধতিতে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে
google সার্চ রেজাল্টে প্রথম স্থানে কিংবা রেঙ্কে দেখাতে চান তাহলে google
কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হয়। এই টাকা প্রদান করে পজিশন
কিনে নেওয়া হয়। এতে আপনাকে কোন প্রকার seo বা সোশ্যাল মিডিয়াতে আর্টিকেলগুলোকে
লিংক করে দেওয়া লাগবে না।
পণ্যগুলো বিক্রি করা হয় সেসব ওয়েবসাইট গুলো গুগল কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করে
Paid Ads
মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসে। তবে আপনি যদি একজন নতুন
ওয়েবসাইট পরিচালক হন তাহলে কখনোই এ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করবেন না কারণ ফ্রিতে
বা seo করেই প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা সম্ভব।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ বা FAQ
নতুন ওয়েবসাইট ট্রাফিক পেতে কত সময় লাগে?
একটি ওয়েবসাইটে গড়ে কতজন ভিজিটর থাকে?
ওয়েবসাইট গুলোতে ৩ লাখ ভিজিটর থাকে।
ওয়েবসাইট ট্রাফিক বেশি হলে কি ভালো হয়?
উপসংরঃ ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
সম্পর্কে সফল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং এই পদ্ধতি গুলো কিভাবে আপনারা
অনুসরণ করে আপনাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারবেন তার নিয়ম দেখানো হয়েছে। তাই
ধৈর্য ধরে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে থাকুন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসতে থাকবে।