১০০% মার্কস জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম

আপনি কি জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি পাঠাতে চাচ্ছেন? তাহলে এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি
কিভাবে লিখতে হয় তার পরিপূর্ণ নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। যেহেতু রক্ত মানব শরীরের
একটি প্রয়োজনীয় জিনিস তাই বিশেষ মুহূর্তে বৈদ্যুতিক চিঠি পাঠাতে হলে আপনাকে
অবশ্যই জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম জানতে হবে।

অনেক সময় মুমূর্ষ রোগী এবং রক্তশূন্যতা রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ভাবে রক্ত
প্রদানের প্রয়োজন পড়ে। এমন অনেক রক্তের গ্রুপ রয়েছে যেগুলো সচরাচর পাওয়া যায়
না এজন্য বিভিন্ন দূরবর্তী স্থানের ব্যক্তিদের কাছে জরুরি রক্তের প্রয়োজন
বৈদ্যুতিক চিঠি পাঠাতে হয় রক্ত সংকলনের জন্য। এজন্য আপনি যদি জরুরি রক্তের
প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম জানেন তাহলে দূরবর্তী ব্যক্তিদের থেকে রক্ত
নিতে পারবেন।

এই আর্টিকেলে জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম এমন ভাবে শেখানো
হয়েছে আপনি যদি এই নিয়ম অনুসরণ করে পরীক্ষায় লিখতে পারেন তাহলে ১০ নম্বরের
মধ্যে ১০ নম্বরই পাবেন। বিশেষ করে মূল আলোচনার সময় সারাংশগুলো নির্ভুল,
সাজানো-গোছানো, ওই বিষয় সম্পর্কে আসল তথ্য এবং আসল কথাগুলো ছোট ভাবে উপস্থাপন
করা হলে যেকোন শিক্ষককে আপনাকে পরিপূর্ণ নাম্বার দেবে যার নিয়ম এই আর্টিকেলেই
দেখানো হয়েছে।

প্রিয় রাজন,

 

আশা করি তুমি ভালো আছো এবং আমিও ভাল আছি। গতকাল রাতে আমার খালাকে সরকারি মেডিকেল
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমার খালাকে গতরাতে সিজার করে হয়েছে। সিজার করার পরে
একটি পুত্র সন্তান হয়। আমার খালার সন্তান হচ্ছিল না প্রায় ১০ বছর পরে তারা
সন্তানের মুখ দেখতে পেরেছে।

 

এটি যেমন একটি খুশির সংবাদ তেমনি একটি দুঃখের সংবাদও রয়েছে। আমার খালার আগে
থেকেই রক্তের পয়েন্ট অনেক কম ছিল এবং আমার খালার রক্তের গ্রুপ হচ্ছে O নেগেটিভ।
মূলত এই দুই কারণে ডাক্তাররা সিজার করতে চাচ্ছিল না। কারণ যদি রক্তের প্রয়োজন
হয় তাহলে এ ধরনের রক্ত পাওয়া যায় না বললেই চলে।

 

তারপরেও আমি তোমার ভরসায় ডাক্তারদের সিজার করতে রাজি করিয়েছিলাম। যেমন কথা ঠিক
তেমনি কাজ আজ সকালে ডাক্তাররা আমাকে বলল তোমার খালার রক্তের প্রয়োজন। যেহেতু
তোমার সাথে আমি দীর্ঘদিন যাবত হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছি এবং একবার হাই স্কুলের
রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে জেনেছিলাম তোমার রক্তের গ্রুপ O নেগেটিভ।

 

তাই এই বিপদের সময়ে তুমি একমাত্র ভরসা। যদি তুমি রক্ত না দাও তাহলে আমার খালার
মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এমনিতেই সিজার করলে অনেক রক্তপাত হয় আর যাদের রক্তশূন্যতা
রয়েছে তাদের সব থেকে বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই এই মুহূর্তে আমার খেলার জন্য
তোমার রক্তের বিশেষ প্রয়োজন বা আবশ্যিক বলতে পারো।

 

তাই তুমি দেরি না করে এখনই সরকারি মেডিকেলে চলে আসো। আমার খেলা এখনো জ্ঞান ফিরেনি
এজন্য তুমি এসে রক্ত দেওয়ার পরে ডাক্তাররা তাকে পরিপূর্ণভাবে ট্রিটমেন্ট করবে।
হয়তো তোমাকে আমি এর আগে কখনো বিশেষ উপকৃত করতে পারেনি কিন্তু কথা দিচ্ছি আজকে
যদি তুমি আমার জন্য এই উপকারটুকু করতে পারো তাহলে যেকোন বিপদ-আপদে আমাকে পাশে
পাবে।

 

তোমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু

মুজাহিদ

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জরুরি রক্তের প্রয়োজন বৈদ্যুতিক চিঠি লিখতে
হয়। পরীক্ষায় যদি এই কথাগুলো আপনি লিখতে পারেন তাহলে আপনার শিক্ষক আপনাকে
পরিপূর্ণ নম্বর দিতে বাধ্য থাকবে। কারণ একজন শিক্ষক যে নিয়মগুলো অনুসরণ করে
নম্বর প্রদান করে তার সব সব নিয়ম গুলো অনুসরণ করে এই চিঠিটি লেখা হয়েছে।