আপনি কি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম জেনে ১০
নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বরই পেতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ
এই আর্টিকেলে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম
উল্লেখ করা হয়েছে। তাই খুব সহজে এবং অল্প কথায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে
বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বরই পেতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ
এই আর্টিকেলে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম
উল্লেখ করা হয়েছে। তাই খুব সহজে এবং অল্প কথায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে
বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নববর্ষ মানেই উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশ। এরকম পরিবেশে প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে
একটি বৈদ্যুতিক চিঠি না পাঠালেই নয়। তবে এটি পাঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি নিয়ম জানতে হবে। তাই চলুন
আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে
বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
একটি বৈদ্যুতিক চিঠি না পাঠালেই নয়। তবে এটি পাঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি নিয়ম জানতে হবে। তাই চলুন
আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে
বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশে পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন
Toggleভূমিকাঃ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি
এই আর্টিকেল জুড়ে আপনি কিভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা
জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লিখে ফুল মার্কস অর্জন করবেন তার কিছু ট্রিকস
দেখানো হয়েছে। যেহেতু পরীক্ষায় নববর্ষ বিষয়ক বৈদ্যুতিক চিঠি বেশি আসে তাই
আপনাদের অবশ্যই এটি জেনে রাখা উচিত কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের চিঠি লিখে
ফুল মার্কস পাওয়া যায়।
জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লিখে ফুল মার্কস অর্জন করবেন তার কিছু ট্রিকস
দেখানো হয়েছে। যেহেতু পরীক্ষায় নববর্ষ বিষয়ক বৈদ্যুতিক চিঠি বেশি আসে তাই
আপনাদের অবশ্যই এটি জেনে রাখা উচিত কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের চিঠি লিখে
ফুল মার্কস পাওয়া যায়।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি
ডান পাশে এগুলো | এবং বাম পাশে এগুলো এভাবে বক্স আকারে লিখবেন |
---|---|
From: | onkita@gmail.com |
To: | sujon@gmail.com |
cc | |
Subject: | নববর্ষের শুভেচ্ছা |
প্রিয় অঙ্কিতা,
আশা করি ভালো আছো এবং আমি তোমাদের দোয়া ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি। আজ
পহেলা নববর্ষ অর্থাৎ বাংলা বছরের প্রথম দিন। চলো প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক
নববর্ষ কি এবং বাঙালি জাতীয় জীবনে নববর্ষের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে। কারণ বাঙালি হিসেবে প্রত্যেকটি মানুষকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
রাখা উচিত।
পহেলা নববর্ষ অর্থাৎ বাংলা বছরের প্রথম দিন। চলো প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক
নববর্ষ কি এবং বাঙালি জাতীয় জীবনে নববর্ষের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে। কারণ বাঙালি হিসেবে প্রত্যেকটি মানুষকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
রাখা উচিত।
পহেলা বৈশাখ বা শুভ নববর্ষ শুধুমাত্র একটি সাধারণ দিন নয় বরং এটি বাঙ্গালীর
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এই দিনের মাধ্যমে বাংলার
বছর গণনা শুরু হয় যার ফলে আমরা পাই নতুন একটি বছর নতুন একটি জীবনের সূচনা।
স্বপ্নগুলোকে নতুনভাবে নতুন বছরের সাথে শুরু করতে শিখি।
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এই দিনের মাধ্যমে বাংলার
বছর গণনা শুরু হয় যার ফলে আমরা পাই নতুন একটি বছর নতুন একটি জীবনের সূচনা।
স্বপ্নগুলোকে নতুনভাবে নতুন বছরের সাথে শুরু করতে শিখি।
তবে নববর্ষের পেছনে অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে। এই ইতিহাস অনেক আগের প্রায় মুঘল
যুগের। মুঘলদের শাসনামলে যখন মুঘল সম্রাট, সম্রাট জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি ১৫৫৬ সালে বাংলা সন গণনা শুরু করেন। ওই তখন সম্রাট
আকবরের শাসনামল থেকেই পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বৈশাখ মাসের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ
হিসাবে পালিত হতে শুরু হয়।
যুগের। মুঘলদের শাসনামলে যখন মুঘল সম্রাট, সম্রাট জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি ১৫৫৬ সালে বাংলা সন গণনা শুরু করেন। ওই তখন সম্রাট
আকবরের শাসনামল থেকেই পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বৈশাখ মাসের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ
হিসাবে পালিত হতে শুরু হয়।
ওই তখন আদি আমল থেকেই বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতীয় জীবনে ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওই মুঘল আমল থেকেই
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন বছরের পদযাত্রা শুরু হতো পহেলা বৈশাখ উদযাপনের
মাধ্যমে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে এই নববর্ষের ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং শক্তিশালী
ভিত্তিযুক্ত ইতিহাস।
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওই মুঘল আমল থেকেই
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন বছরের পদযাত্রা শুরু হতো পহেলা বৈশাখ উদযাপনের
মাধ্যমে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে এই নববর্ষের ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং শক্তিশালী
ভিত্তিযুক্ত ইতিহাস।
তবে নববর্ষের বেশ কিছু রীতিনীতি বা নিয়মানুবর্তিতা রয়েছে। নববর্ষ সবথেকে বেশি
পরিচিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নববর্ষের খাবার, হালখাতা এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার
জন্য। এই দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য মহা খুশির এবং আনন্দের দিন কারণ তারা সারা
বছর যেসব পণ্য বাকিতে বিক্রি করে সেইসব গ্রাহকেরা নববর্ষের দিনে তাদের বাকি
টাকা দিয়ে হালখাতা করে।
পরিচিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নববর্ষের খাবার, হালখাতা এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার
জন্য। এই দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য মহা খুশির এবং আনন্দের দিন কারণ তারা সারা
বছর যেসব পণ্য বাকিতে বিক্রি করে সেইসব গ্রাহকেরা নববর্ষের দিনে তাদের বাকি
টাকা দিয়ে হালখাতা করে।
এতে দোকানদার যেমন তার বাকি পাওনা খুঁজে পাই ঠিক তেমনি ভাবে গ্রাহকেরাও হালখাতা
হিসাবে মিষ্টি, লুচি ও পরোটা নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে আসে। এতে দুইজনেই
লাভবান হন এবং গ্রাহকেরা হাসিখুশিতে পাওনা পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত হন। তারপরেও
অনেক দোকানদারেরা সম্পূর্ণ বাকির টাকা তুলতে পারে না।
হিসাবে মিষ্টি, লুচি ও পরোটা নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে আসে। এতে দুইজনেই
লাভবান হন এবং গ্রাহকেরা হাসিখুশিতে পাওনা পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত হন। তারপরেও
অনেক দোকানদারেরা সম্পূর্ণ বাকির টাকা তুলতে পারে না।
এছাড়া নববর্ষের প্রথম এবং প্রধান আনন্দ হচ্ছে সকালে পান্তা এবং ইলিশ মাছ
খাওয়া। বাঙ্গালী জাতীয় জীবনে নববর্ষের মত সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যপূর্ণ মিলনমেলায়
প্রধান আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে পান্তা এবং ইলিশ মাছ। অনেকে এই নববর্ষ উপলক্ষে
পান্তা এবং ইলিশ মাছ বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করে নেয়।
খাওয়া। বাঙ্গালী জাতীয় জীবনে নববর্ষের মত সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যপূর্ণ মিলনমেলায়
প্রধান আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে পান্তা এবং ইলিশ মাছ। অনেকে এই নববর্ষ উপলক্ষে
পান্তা এবং ইলিশ মাছ বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করে নেয়।
এ ছাড়া পুরো দেশব্যাপী গান, কবিতা, নাটক, শর্ট ফিল্ম, আবৃত্তি ইত্যাদি বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। এছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ঢাক, কাঁসর,
বাঁশি, ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ছোট বড় সবাই বের হয়ে যায়। এক কথায়
নববর্ষ সমস্ত জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ হলে বাঙালি জাতিকে একত্রিত করার
বিশাল একটি মাধ্যম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। এছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ঢাক, কাঁসর,
বাঁশি, ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ছোট বড় সবাই বের হয়ে যায়। এক কথায়
নববর্ষ সমস্ত জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ হলে বাঙালি জাতিকে একত্রিত করার
বিশাল একটি মাধ্যম।
তাই একজন বাঙালি হিসাবে এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা এবং নববর্ষ উদযাপন করা
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। কোন বাঙালি যদি এগুলোকে অস্বীকার করে
বা মানতে রাজি না হয় তাহলে সে বাঙালি নামে কলঙ্ক। বাঙালির পূর্বের ইতিহাস
সম্পর্কে তাদের কোন ধারনাই নেই কারণ এটি মুঘল আমল থেকে বাংলার ঐতিহ্য এবং
সংস্কৃতিতে স্থান করে নিয়েছে।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। কোন বাঙালি যদি এগুলোকে অস্বীকার করে
বা মানতে রাজি না হয় তাহলে সে বাঙালি নামে কলঙ্ক। বাঙালির পূর্বের ইতিহাস
সম্পর্কে তাদের কোন ধারনাই নেই কারণ এটি মুঘল আমল থেকে বাংলার ঐতিহ্য এবং
সংস্কৃতিতে স্থান করে নিয়েছে।
যাই হোক, যেহেতু নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে নতুন একটি বছরের পদার্পণ করা হয় তাই
গত বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরের সাথে নতুন স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করার
পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাই এই মহান ঐতিহ্যপূর্ণ দিনে আমার পক্ষ থেকে তোমাকে
রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
গত বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরের সাথে নতুন স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করার
পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাই এই মহান ঐতিহ্যপূর্ণ দিনে আমার পক্ষ থেকে তোমাকে
রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
তোমার বন্ধু
সুজন
শুভ নববর্ষ ছবি
ইয়ু
ব্যক্তিগত মতামতঃ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি
লেখার যে নিয়মটি উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি এভাবে হুবহু লিখতে পারেন তাহলে
শিক্ষক আপনাকে ১০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর দিতে বাধ্য এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে
বলতে পারি। কারণ আমি যখন ছাত্রজীবনে ছিলাম ঠিক এই ভাবেই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লিখতাম।
লেখার যে নিয়মটি উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি এভাবে হুবহু লিখতে পারেন তাহলে
শিক্ষক আপনাকে ১০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর দিতে বাধ্য এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে
বলতে পারি। কারণ আমি যখন ছাত্রজীবনে ছিলাম ঠিক এই ভাবেই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য বন্ধুকে বৈদ্যুতিক চিঠি লিখতাম।